আসামিদের সঙ্গে গোপন যোগাযোগ: দুদক পরিচালক বরখাস্ত
২২ জানুয়ারি ২০১৯ ১৫:৩১
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: আসামিদের সঙ্গে গোপন যোগাযোগ ও অনুসন্ধানের তথ্যফাঁস করার অভিযোগে দুদকের পরিচালক ফজলুল হককে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ফজলুল হক দুদকের প্রধান কার্যালয় সেগুনবাগিচায় কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন- দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চলবে: দুদক চেয়ারম্যান
মঙ্গলবার দুদক কার্যালয় থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় সাময়িক বরখাস্ত হওয়া দুদকের পরিচালক ফজলুল হক সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘খারাপ কাজ করলে বহিষ্কার হবে। সে তো সদ্য পদোন্নতি পেয়েছে, এরপরও তো কোনো মাফ নেই।’
তিনি বলেন, ‘যারাই আমাদের নজরে আসবে, তাদেরকে বহিষ্কার করা হবে। দুদকের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কোন লিস্ট করছেন কিনা এমন প্রশ্নে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘কোনো লিস্ট করছি না। যাদের চলমান কাজের মধ্যে গলতি পাওয়া যাবে, তাদের বহিষ্কার করা হবে।’
দুদক সূত্রে জানা গেছে, এ কে এম ফজলুল হক দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্ত উইংয়ের পরিচালক। তিনি বন বিভাগের এক কর্মকর্তার সম্পদের অনুসন্ধানে কাজে দীর্ঘ ১৩ মাস সময় নেন। তিনি অনুসন্ধান সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথির কাগজপত্র বেআইনিভাবে এক কর্মচারীর মাধ্যমে অভিযুক্ত ব্যক্তির হাতে তুলে দিয়েছিলেন, যা দুদক মহাপরিচালক (প্রশাসন) হাতনাতে ধরেন গত ১৪ জানুয়ারি। ফলে কমিশনের চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ফজলুল হককে বরখাস্ত করা প্রসঙ্গে দুদক মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ সুশাসন প্রতিষ্ঠায় দুদক প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। প্রত্যেক কর্মচারী-কর্মকর্তাকে অপরাধের দায় বহন করতে হবে। প্রত্যেকের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি আছে। তাই দুদক কর্মকর্তাদের সৎ ও নীতিনিষ্ঠভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
সারাবাংলা/ইএইচটি/এমও