ধারণার চেয়ে দ্রুত গলছে গ্রিনল্যান্ডের হিমবাহ
২২ জানুয়ারি ২০১৯ ১৭:১০
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বরফ আচ্ছাদিত গ্রিনল্যান্ডের পরিবর্তন অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে প্রকট বলে জানিয়েছে নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদন।
সোমবার (২১ জানুয়ারি) দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস-এর প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়, ২০০৩ সাল থেকে বর্তমান সময়ে পূর্বের ধারণার চেয়ে চার গুণ হারে বরফ গলছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১২ সালে গ্রিনল্যান্ডে চার শ বিলিয়ন টনের বেশি বরফ গলেছে। দক্ষিণ-পশ্চিম গ্রিনল্যান্ডে এই হার সবচেয়ে বেশি।
গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও ইউনিভার্সিটির জিওডাইনামিক্স বিভাগের প্রফেসর মাইকেল বেভিস।
বেভিস বলেন, বড় বড় হিমবাহ গলে নদীতে ও সাগরে পড়ছে। বরফ গলে যাওয়াটা এখন দৃশ্যত বড় সমস্যা। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির বড় কারণ এটি।
পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে বেভিস বলেন, আমাদের এখন খাপ খাওয়ানো ও বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি প্রশমিত করা ছাড়া উপায় নেই।
এই গবেষণা পরিচালনার জন্য নাসার গ্র্যাভেটি রিকভারি (জিআরএসিই) ও গ্রিনল্যান্ডের জিপিএস সিস্টেম ব্যবহার করা হয়।
গত বছরের ডিসেম্বরে ‘সায়েন্টিফিক জার্নাল নেচার’ এক প্রতিবেদনে জানায়, গত কয়েক দশকে গ্রিনল্যান্ডে বরফ গলার হার শিল্পযুগ পূর্বের সময়েরে চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি। ৮০ ভাগ বরফের দেশটির সব বরফ গেলে গেলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ৭ মিটার বাড়বে। তলিয়ে যাবে বিশ্বের অনেক নিম্নাঞ্চল। বাস্তুহারা হবে লাখ লাখ লোক।
এক সপ্তাহ আগে আরভিন ইউনিভার্সিটির আর্থ সিস্টেম সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান এরিক রিগনোট এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানান, বিগত চল্লিশ বছরের আগের তুলনায় বর্তমানে ছয় গুণ হারে গলছে অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের হিমবাহ। অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের সমস্ত বরফ গলে গেলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে দাঁড়াবে ৫৭ মিটার।
উল্লেখ্য, গবেষকদের দাবি গত ১৯৭৯ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়েছে ১.৪ সেন্টিমিটার। ২১০০ সাল নাগাদ তা বেড়ে ১.৮ মিটারে উন্নীত হতে পারে। যা সত্যিকার অর্থেই ভয়াবহ।
বিজ্ঞানীরা জানান, বরফ গলে যাওয়া ও সমুদ্রপৃষ্ঠের এই ক্রমবর্ধমান উচ্চতা বৃদ্ধি চলতেই থাকবে। মানুষের খুব বেশি কিছু করার নেই এখন আর!
সারাবাংলা/এনএইচ
—————————————————————-
সবার আগে তথ্য পেতে সারাবাংলার ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন: Sarabangla/facebook
ইউটিউবে দেখুন ভিডিও প্রতিবেদন: Sarabangla/youtube
আমাদের ফলো করুন ইনস্টাগ্রাম ও টুইটারে।
———————————————————-
প্রতিবেদনটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করুন।