Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি দুই শিক্ষার্থী নিহতের মামলায়


২২ জানুয়ারি ২০১৯ ১৮:২৬

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: রাজধানীর শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী বাসের চাপায় মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নির্ধারিত ছিল। কিন্তু এদিন কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির হননি। এ কারণে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের নতুম করে এ দিন নির্ধারণ করেন।

বিজ্ঞাপন

মামলাটিতে ৪১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- জাবালে নূর পরিবহনের দুটি বাসের মালিক শাহাদাত হোসেন ও জাহাঙ্গীর আলম, দুই চালক মাসুম বিল্লাহ ও জুবায়ের সুমন এবং দুই চালকের দুই সহকারী এনায়েত হোসেন ও কাজী আসাদ। এদের মধ্যে শাহাদাত হোসেনের মালিকানাধীন বাসটির চাপায় দুই শিক্ষার্থী মারা যায়। আসামিদের মধ্যে কাজী আসাদ ও জাহাঙ্গীর আলম পলাতক। বাকি চারজন কারাগারে।

এর আগে আসামিদের মধ্যে শাহাদাত হোসেন, মাসুম বিল্লাহ ও জোবায়ের সুমন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গত ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর কাজী শরিফুল ইসলাম ঢাকা মুখ্য মহানগর আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, আসামি জোবায়ের সুমন ও মাছুম বিল্লাহ হালকা যান কার, জীপ ও মাইক্রোবাস চালানোর ড্রাইভিং লাইসেন্স সঠিক থাকলেও ৪১ সিটের বাস চালানোর ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না। এছাড়া জব্দকরা তিনটি বাসের কোনটিতেও কোনো প্রকার যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল না। বাসের ড্রাইভার ও হেলপার নিয়োগের এখতিয়ার বাস মালিকের। অত্র মামলার আসামি ড্রাইভার ও হেলপারদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ও বুদ্ধিমত্তা যাচাই ছাড়াই মালিক শাহদাত হোসেন ও জাহাঙ্গীর আলম তাদের নিয়োগ দেয়।

বিজ্ঞাপন

আসামি সোহাগ আলী ও রিপন হোসেনের বিরুদ্ধে পুলিশি তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে মামলায় দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

গত ৬ আগষ্ট এ চার আসামির ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই দুপুরে কালশী ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে এমইএস বাস স্ট্যান্ডে ১৫-২০ জন শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে ছিলেন। জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় মুখেই দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পেছন থেকে আরেকটি দ্রুতগতি সম্পন্ন জাবালে নূরের বাস ওভারটেক করে সামনে আসতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় দুজন। ওই ঘটনায় ২৯ জুলাই দিবাগত রাতে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম এ মামলা দায়ের করেন।

সারাবাংলা/এআই/এমআই

দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর