বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে রেলসেতু নির্মিত হবে: রেলমন্ত্রী
২২ জানুয়ারি ২০১৯ ১৮:৫৮
।। সারাবাংলা ডেস্ক ।।
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ‘যমুনা নদীর ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশেই রেলের জন্য আলাদা একটি সেতু নির্মিত হবে। জাপানি অর্থায়নে বঙ্গবন্ধু সেতুর তিনশ ফুট উজানে ডাবল গেজের ওই সেতুটি নির্মাণের পরিকল্পনা হয়েছে। সেটির কাজ সমাপ্ত হলে উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকার ট্রেনসংখ্যা বাড়ানোর আর কোনো বাধা থাকবে না।’ মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে দেশের বৃহত্তম নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘রেল সাধারণ মানুষের বাহন। দ্রুততম সময়ে লোকবল নিয়োগ দিয়ে রেলওয়ের সক্ষমতা আরও বাড়ানো হবে। স্টেশন মাস্টারের সংকটে বন্ধ থাকা শতাধিক রেল স্টেশন অচিরেই চালু করা হবে। সেবা বাড়াতে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর কাজ চলছে। এ মুহূর্তে আমাদের আরও চারটি নতুন ট্রেন চালু করার মতো ইঞ্জিন ও কোচ মজুদ রয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে রেলওয়ে খাতের গুরুত্ব অনুধাবন করেই রেলওয়ের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় গঠন করেছেন। তিনি রেলওয়েকে মৃত প্রতিষ্ঠান থেকে ভাল অবস্থায় নিয়ে এসেছেন। আগামী ৫ বছরের মধ্যে রেলকে সাধারণ মানুষের আকাঙ্খার বাহন হিসেবে তৈরিতে কাজ চলছে। সৈয়দপুর রেল কারখানার উন্নয়নে সব ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বৃটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত কারখানাটিতে ওয়াগন, কোচসহ রেলের যাবতীয় যন্ত্রাংশ তৈরির সক্ষমতা আছে।
কারখানা পরিদর্শনকালে মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোফাজ্জেল হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রোলিং স্টক) মো. সামসুজ্জমান, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক খন্দকার সহিদুল ইসলাম, রাজশাহীর প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক মো. বেলাল হোসেন সরকারসহ অনেকে।
এর আগে মন্ত্রী কারখানার অভ্যন্তরে ‘অদম্য স্বাধীনতা’ স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।সূত্র: বাসস
সারাবাংলা/এমআই