গণধর্ষণ: রিমান্ডমঞ্জুর হওয়া ৩ আসামির অব্যাহতি চান বাদিনী
২২ জানুয়ারি ২০১৯ ২২:৫৫
।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট।।
নোয়াখালী: নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নবগ্রামের এক নারীকে (২৯) গণধর্ষণের ঘটনায় আসামি আব্দুর রব মান্না, মো. সেলিম ও হারুন অর রশিদের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় দাবি করে মামলা থেকে তাদের অব্যহতি চেয়ে আবেদন করেছেন ধর্ষণের শিকার নারী।
মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে তিনি আসামিকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২নং আমলী আদালতে হাজির করা হলে বিচারক নবনিতা গুহ শুনানি শেষে তাদের প্রত্যেককে ৪দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: এবার কবিরহাটে গৃহবধূকে গণধর্ষণ
জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, মান্না, সেলিম ও হারুনকে ৭দিন করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের ৪দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এদিন বাদীর আইনজীবী রবিউল হাসান পলাশ আদালতে একটি লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন আসামি জাকির হোসেন জহির উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাদীনির পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি করার জন্য ঘটনায় বাদীনির দেবর আবদুর রব মান্না, মামা হারুন অর রশিদ ও জেঠাতো ভাই মো. সেলিমকে জড়িয়েছে। আবেদনে এ মামলা থেকে উক্ত ব্যক্তিদের অব্যহতি চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কবিরহাটে গৃহবধূকে গণধর্ষণ মামলা ডিবিতে
নির্যাতিতা গৃহবধূ জানান, আসামি জাকির হোসেন জহির মনগড়া জবানবন্দি দিয়ে তার নিরপরাধী আত্মীয়দের গ্রেফতার করিয়েছে। এ ঘটনার সাথে তারা কেউই জড়িত নয় ও তাদের বিরুদ্ধে তার কোন অভিযোগও নেই। ঘটনার সময় ওদের কাউকে তিনি দেখেনি বলেও জানান।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে স্থানীয় মুদি ব্যবসায়ী জাকির হোসেন জহিরের নেতৃত্বে কয়েকজন ওই নারীর ঘরে ঢুকে। এদের মধ্যে কয়েকজন মুখোশ পরা ছিল। এসময় তারা আবুল হোসেনের স্ত্রীর কাছে ৬০ হাজার টাকা আছে বলে সেগুলো দিতে বলে। এনিয়ে ওই নারীর সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে তারা ঘরের বৈদ্যুতিক লাইট বন্ধ করে ভিকটিমের মা, ভিকটিমের এক ছেলে ও দুই মেয়েকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গণধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ৭জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
সারাবাংলা/এমএইচ