ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমা, প্রয়োজনে সেনা মোতায়েন
২৩ জানুয়ারি ২০১৯ ১৪:০৪
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা : আসছে ফেব্রুয়ারি মাসে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে তাবলিগ জামাতের বিবাদমান দুই পক্ষের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই তথ্য জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে মিটমাট হয়ে গেছে। আগামি ফেব্রুয়ারি মাসে দুই পক্ষ মিলেই বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করবে।
তবে কবে এই ইজতেমা হবে তা আরেকটি বৈঠকের মাধ্যমে ঠিক করা হবে। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বিশ্ব ইজতেমার তারিখ ঠিক করা হবে বলেও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
প্রতি বছরের মতো এবারও ইজতেমাকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, ইজতেমার নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনে সেনা সদস্য মোতায়েন করা হবে।
এসময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে, আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। এগুলো তাবলিগের জন্য কলঙ্ক। এর থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি। দুই পক্ষ এক হয়েছেন। এখন আবার যথারীতি ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।’
তাবলিগের দুই পক্ষের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক
এর আগে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দুইপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকে মাওলানা সাদ আহমাদ কান্ধলভী ও মাওলানা জোবায়ের আহমেদ এর পক্ষের তাবলীগ জামাত নেতারা উপস্থিত ছিলেন। দুটি দলের নেতৃত্ব দেন ওয়াসিকুল ইসলাম ও মাওলানা জোবায়ের। দুই দলেই ১৬ থেকে ১৭ জন করে সদস্য বৈঠকে অংশ নেন।এছাড়া সরকারের পক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ, স্বরাষ্ট্র সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, ধর্ম সচিব মো. আনিছুর রহমান, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের প্রধান বেনজির আহমেদ, আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারী উপস্থিত আছেন।
তাবলিগ জামাতের দুইপক্ষের মধ্যে মনোমালিন্য ও সংঘর্ষের পর গত ১৭ জানুয়ারি দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম মাওলানা আবুল কাসেম নোমানির সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের (সা’দপন্থী ও সা’দবিরোধী) সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কারও সঙ্গেই সম্পর্ক না রাখার ঘোষণা দেয় ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। এ নিষেধাজ্ঞার ফলে বাংলাদেশের গাজীপুরের টঙ্গীতে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত অনিশ্চিত হয়ে যায়।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এসএমএন