‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার মান উন্নয়নে কঠোর নজরদারি’
২৩ জানুয়ারি ২০১৯ ২১:৩১
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও তার স্বজনের মানসিক অবস্থাকে মানবিকতার সঙ্গে অনুভব করতে জন্য চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার মান উন্নয়নের জন্য সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকেও এখন থেকে নিয়মিত কঠোর নজরদারির আওতায় আনা হবে।’ বুধবার (২৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)-এর প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবাকে অধিকতর রোগীবান্ধব হিসাবে গড়ে তুলতে চিকিৎসক, নার্স ও সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর মাঝে ইতিবাচক ও সেবামূলক মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। দেশের গ্রামে-গঞ্জে খেটে খাওয়া কোটি কোটি মানুষের অতি সাধারণ প্রত্যাশা, তারা যেন হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকের আন্তরিক ছোঁয়া পায়। ’ তাদের আকাঙ্ক্ষা যেন চিকিৎসকদের সেবায় প্রতিফলিত হয়, সেদিকে সচেতন থাকতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের আবাসন সংকটের উদ্যোগ দ্রুততম সময়ের মধ্যে নেওয়া হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য দুটি করে ডরমেটরি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই নির্মাণ কাজ শুরু করা সম্ভব হবে। ’ পাশাপাশি নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ী বিভাগীয় পর্যায়ে ক্যান্সার ও কিডনি হাসপাতাল নির্মাণের ঘোষণাও এ সময় তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ে চিকিৎসক স্বল্পতা দূর করতে খুব শিগগিরই আরও ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে। নতুন এই চিকিৎসকদের গ্রামে পদায়ন করা হলে হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট অনেক কমে যাবে। গত পাঁচ বছর চিকিৎসা শিক্ষার মান বাড়ানোর পাশাপাশি সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে দীর্ঘদিন পর নতুন ৭৫০টি আসন বাড়ানো হয়েছে। ’ আগামীতে উচ্চতর শিক্ষার জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে বলেও তিনি জানান।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান ও মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজের নেতৃত্বে কার্যকরী কমিটির ৪০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, চিকিৎসা শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব জি এম সালেহ উদ্দিনসহ অনেকে।
সারাবাংলা/জেএ/এএইচএইচ/ এমএনএইচ