Tuesday 26 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দাম কমেছে চালের, বেড়েছে ডালের


২৫ জানুয়ারি ২০১৯ ১৫:১৩

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম কমলেও বেড়েছে মসুর ডালের দাম। তবে অন্যান্য সামগ্রীর দাম কমবেশি অপরিবর্তিত রয়েছে।

শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি)  রাজধানীর বাড্ডা ও বসুন্ধরা বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

বাড্ডা পাইকারী চালের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, রশিদ মিনিকেট (৫০ কেজি) বিক্রি হচ্ছে ২৫৬০ টাকায়, গত সপ্তাহে যা ছিল ২৬২০ টাকা; এলসি মিনিকেট ২৫ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২৫৪০ টাকা, গত সপ্তাহে যা ছিল ২৬০০ টাকা; নাবিল মিনিকেট ৫০ কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০০ টাকায়, গত সপ্তাহে যা ছিল ২৫৮০ টাকা; মোজাম্মেল মিনিকেট ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২৫৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৬২০ টাকা।

একই বাজারে ৫০ কেজির বস্তায় সাকি ২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ২০৫০ টাকা; নূরজাহান পাইজাম বিক্রি হচ্ছে ১৭৩০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮২০ টাকা; দাদা ২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৯০০ টাকা; দূর্গা নাজির বিক্রি হচ্ছে ২২০০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ২১৫০ টাকা; শ্যামলী ২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ১৯০০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ২০৫০ টাকা।

এ বাজারে ময়দার দামও কমেছে। গত সপ্তাহে তীর ময়দা ৫০ কেজি বিক্রি হয়েছে ১৬০০ টাকায়, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ টাকায়।

চালের দাম কমার বিষয়ে বাড্ডার হেকিম অ্যান্ড সন্সের পাইকারি চাল ব্যবসায়ী আলামিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘গত সপ্তাহে আমরা যে দামে চাল বিক্রি করেছি এখন তার চেয়ে বস্তায় ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কমে বিক্রি করছি। আমরা যখন যেমন কিনি, তখন তেমন বিক্রি করি। এককথায় মোকামের ওপর নিভর্র করে আমরা কেমন দামে বিক্রি করব।’ চালের দাম সামনে আরও কমবে বলেও মনে করছেন এই ব্যবসায়ী।

বিজ্ঞাপন

চালের দাম কমলেও বেড়েছে ডালের দাম। গত সপ্তাহে দেশি মসুর ডাল বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ৮৫ টাকায়, যা এখন ৯৫ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় মসুর ডাল গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৫৫ টাকা কেজিতে, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। আর মুগডাল গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকায়, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দরে।

বাড্ডার পাইকারি মুদি ব্যবসায়ী ফয়সাল আহমেদ বলেন, বাজার এখন গরম। ডাল আমদানিটার দামও বেড়েছে, আবার দেশি ডালের দামও বেড়েছে। আর দাম বাড়ার কারণ মিল থেকে, অর্থাৎ আমদানিকারকরাই দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা যেমন দামে কিনি, তেমন দামেই বিক্রি করি। কম দামে কিনতে পারলে কম দামে বিক্রি করতে পারি, কেনা দাম বেশি হলে বিক্রির দামও বেশি হয়।

এদিকে, পেঁয়াজ-রসুন-আদার দামও কমেছে বাজারে। গত সপ্তাহে পেঁয়াজ কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছে ২৫ টাকায়, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ২২ টাকায়। এছাড়া গত সপ্তাহে ভারত থেকে আমদানি করা রসুন বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ৯০ টাকায়, যা এখন ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় আদার দাম গত সপ্তাহে ছিল প্রতি কেজি ১২০ টাকা, এখন যা ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এর প্রভাব পড়েছে দেশি আদার দামেও। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ১১০ টাকায় বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। এছাড়া কমেছে আলুর দামও। গত সপ্তাহে ২৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন আলুর দাম ১৮ টাকা কেজি।

চাল-ডাল, আদা-রসুনের দামে হেরফের হলেও অপরিবর্তিত রয়েছ মাংসের বাজার। ব্রয়লার মুরগী কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়; আর গরুর মাংস ৪৮০ টাকা ও খাসির মাংস ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, মাছ ও কাঁচাবাজারের দামেও তেমন একটা পরিবর্তন আসেনি এ সপ্তাহে। শীতের সবজির মধ্যে টমেটো ২৫ থেকে ৩০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, বাঁধাকপি ১৫ থেকে ২০ টাকা ও ফুলকপি ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  আর ১১০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি দরে এক কেজি ওজনের ইলিশ, মানভেদে ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা কেজিতে চিংড়ি, ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজিতে রুই ও ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে তেলাপিয়া মাছ।

বিজ্ঞাপন

বসুন্ধরা কাঁচাবাজারে কথা হয় বাজার করতে আসা সরকারি চাকরিজীবী আজমল হোসেনের সঙ্গে। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, দাম আজ কিছুটা কম। যেমন— চালের, পেঁয়াজ, রসুনসহ কিছু জিনিসের দাম কমেছে। তবে মাঝে মধ্যেই বাজার ওঠানামা করে। বাজার চড়া থাকলে অনেককিছুই ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। তখন খুব কষ্ট হয়ে যায়।

এ কারণে বাজার মনিটরিংয়ে শক্ত পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান আজমল হোসেন। তিনি বলেন, আমরা যারা সরকারি চাকরিজীবী, তাদের জন্য জিনিসপত্রের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকা জরুরি। কারণ আমাদের তো নির্দিষ্ট বেতনের ওপরই নির্ভর করতে হয়।

বাজারের বেসরকারি চাকরিজীবী আরেক ক্রেতা রাসেল বলেন, বাজারে হঠাৎ হঠাৎ করে কেন সবকিছুর দাম বেড়ে যায়, তার কারণ সরকারের বের করা উচিত। কারণ আমরা তো খবরে দেখতে পাই, কৃষকরা পানির দামে সবজি-ফসল বিক্রি করে। কিন্তু বাজারে তো সে প্রভাব দেখি না। এগুলো কঠোরভাবে নজরদারি করা উচিত।

সারাবাংলা/এসজে/টিআর

চালের দাম ডালের দাম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর