‘মিথ্যা হত্যা মামলা’য় ফাঁসানোর অভিযোগে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
২৫ জানুয়ারি ২০১৯ ১৭:২১
।। ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট ।।
জয়পুরহাট: মোটা অঙ্কের দেনা থেকে রক্ষা পেতে অহেতুক একটি হত্যা মামলায় তার স্বামীকে ফাঁসানোর অভিযোগ করেছেন নওগাঁর ধামুইরহাট উপজেলার জগৎনগর গ্রামের আখতার হোসেনের স্ত্রী মেরিনা পারভিন।
শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় জয়পুরহাট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ জানান।
মেরিনা পারভিন লিখিত অভিযোগে জানান, তার স্বামী আবু আখতার হোসেন নওগাঁর ধামুইরহাট উপজেলার স্থানীয় জগদল আদিবাসী স্কুল ও কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রদর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন। গত ২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাংলা বিভাগের প্রভাষক জামাল উদ্দিন তার স্বামীর নিকট থেকে ১০ লাখ টাকা ব্যক্তিগত ঋণ গ্রহণ নেন।
তিনি বলেন, এরপর সমপরিমাণ অর্থের বিপরীতে তার স্বামীকে সোনালী ব্যাংক ধামুইরহাট শাখার সঞ্চয়ী হিসাব ৩৪০৩৯৯৮৩ নম্বরের একটি চেক প্রদান করেন জামাল উদ্দিন। পরবর্তীতে মেরিনার স্বামী আখতার হোসেন উক্ত চেকটি নগদায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে জমা প্রদান করলে ব্যাংক ‘অপর্যাপ্ত তহবিল’ দেখিয়ে চেকটি প্রত্যাখ্যান করে।
তাই আখতার হোসেন ঋণ গ্রহীতা জামাল উদ্দিনকে আসামি করে জয়পুরহাট অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ২০১৭ সালের ২২ মার্চ মামলা দায়ের করেন ( মামলা নং-৪৮৫/১৭ দায়রা)।
এমতাবস্থায়, গত ১৭ জানুয়ারি ধামুইরহাট উপজেলার ঘুখশি খালে হাত-পা বাধা অবস্থায় জামাল উদ্দিনের মৃতদেহ পাওয়া যায়। পরে জামাল উদ্দিনের স্ত্রী পরি বানু বাদি হয়ে আখতার হোসেনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মেরিনার দাবি করে জানান, পরবর্তীতে আমরা জানতে পারি অভিযুক্ত জামাল উদ্দিন আরও অনেকের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা ঋণ নিয়ে অবৈধ মূর্তি ব্যবসায় তা বিনিয়োগ করতেন। ওই ঋণের টাকা পরিশোধে তিনি মানসিক চাপে থাকায় আমার স্বামীকে সহকর্মী হিসেবে অনুরোধ করলে তিনি জামাল উদ্দিনকে ১০ লাখ টাকা ধার দেন।
তিনি জানান, জামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জনের অর্থ আত্মসাতের মামলা ও অভিযোগ রয়েছে। এ পাওনা টাকা থেকে পরিত্রাণ পেতে আমার স্বামীকে ওই হত্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের আইজিপি, ডিআইজিপি, পুলিশ সুপার ও স্থানীয় র্যাব অধিনায়কের কাছে আবেদন করেন বলেও জানান মেরিনা।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ‘ভুক্তভোগী’ পরিবারের সদস্যরা, আইনজীবী এডভোকেট মানিক হোসেন ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ।
সারাবাংলা/এনএইচ