একনেকে ১৪ প্রকল্প অনুমোদন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ১৮ হাজার ৪৮২ কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ের ১৪টি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায়। এসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে বন্যাপ্রবণ ও নদী ভাঙন এলাকায় বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ (তৃতীয় পর্যায়), নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত)-সহ নির্বাচিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের ৩ হাজার নতুন ভবন তৈরি প্রকল্প রয়েছে।

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে মঙ্গলবার এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়।

একনেক সভা শেষে প্রকল্পগুলো নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের মোট ব্যয় সরকারি অর্থায়ন থেকে করা হবে ১৬ হাজার ৩৭০ কোটি ৮১ লাখ টাকা ও প্রকল্প সাহায্য ২ হাজার ১৭ কোটি ১১ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে ব্যয় হবে ৯৫ কোটি টাকা।’

প্রকল্পগুলোর বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রকল্পগুলো হচ্ছে— বন্যা প্রবণ ও নদী ভাঙন এলাকায় বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্প এক হাজার ৬৭০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, জেলা ত্রাণ গুদাম কাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প ১২৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা,চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায় মহানন্দা নদী ড্রেজিং ও রাবার ড্যাম প্রকল্প ১৫৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা, বৃহত্তর চট্টগ্রাম গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প ৩ এক হাজার ২৯০ কোটি টাকা, বৃহত্তর ফরিদপুর চরাঞ্চন এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় গবাদিপশুর জাত উন্নয়ন ও দুগ্ধের বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিতকরণ কারখানা স্থাপন প্রকল্প  ৩৪৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা, অগ্রাধিকারমূলক গ্রামীণ পানি সরবারাহ প্রকল্প ৮৭৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা, নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প ৫৯৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা, বগুড়া উপজেলার সাথে সংযুক্ত চাপাপুরা-বগুড়া, নিমসার-বরুড়া এবং খাজুরিয়া-বরুড়া জেলা মহাসড়ক তিনটি যথাযথ মানে ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প ১৫৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা, সাতটি র‍্যাব কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প ৫৯৯ কোটি ৮ লাখ টাকা, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বহুতল অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্প ১১২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, নির্বাচিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের ৩ হাজার নতুন ভবন তৈরি  প্রকল্প ১০ হাজার ৬৪৯ কোটি পাঁচ লাখ টাকা, এ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রোডিয়েন্ট (এপিআই) শিল্প পার্ক প্রকল্প ৩৮১ কোটি টাকা, জরুরি ২০০৭ ঘূর্ণিঝড় পুনরুদ্ধার ও পুনর্বাসন প্রকল্প এক হাজার ৬১৮ কোটি ১০ লাখ টাকা, এমারজেন্সি ২০০৭ ঘূর্ণিঝড় পুনরুদ্ধার ও পুনর্বাসন এবং প্রজেক্ট করডিনেশন অ্যান্ড মনিটরিং ইউনিট প্রকল্প (তৃতীয় সংশোধিত) ৬৩ কোটি টাকা।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব জিয়াউল ইসলাম, সাধারণ অর্থনৈতিক বিভাগের সদস্য ড. শামসুল ইসলাম প্রমুখ।

সারাবাংলা/ইএইচটি/জেএএম/আইজেকে