অর্থ নিয়ে বিরোধের জেরে স্বামীকে হত্যা করে ৬ টুকরো
২৬ জানুয়ারি ২০১৯ ১৫:১১
।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
গাজীপুর : আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধের জের ধরে স্বামীকে খুন করে মৃতদেহ ছয় টুকরো করে ফেলে দিয়েছিলেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন এক নারী। শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) গাজীপুরের শ্রীপুরের গিলারচর এলাকা থেকে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার করা হয় তার স্ত্রীকে।
পরে জিজ্ঞাসাবাদে জীবন্নাহার মেঘনা নামে ওই স্ত্রী তার স্বামী পোশাক শ্রমিক রফিকুল ইসলামকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
শনিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার।
পুলিশ সুপার বলেন, গতকাল গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার গিলারচালা গ্রামের একটি বাঁশ ঝাড়ের ময়লার স্তুপে পড়ে থাকা বস্তার ভেতর থেকে রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি টুকরা করা মরদেহের কিছু অংশ উদ্ধার করা হয়। পরে এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী জীবন্নাহার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
জীবন্নাহার জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন যে হত্যার আলামত নষ্ট ও মৃত শরীর গুমের জন্যই তিনি বটি দিয়ে স্বামীর মৃতদেহকে ছয় টুকরা করেন।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জীবন্নাহার জানান, আর্থিক লেনদেন নিয়ে স্বামীর সঙ্গে তার বিরোধ বাঁধে। এরই জেরে ঝগড়ার এক পর্যায়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে স্বামী রফিকুল ইসলামকে প্রথমে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ ঘরের ওয়্যারড্রোবে লুকিয়ে রাখেন তিনি। মরদেহের পরিচয় নষ্ট করতে রাত ১১টার দিকে বটি দিয়ে পা, হাত ও মাথা কেটে ছয় টুকরো করেন। এরপর মাথা ও হাত ময়লার ড্রামে, শরীর বস্তার ভেতর এবং পা টয়লেটের পাশে ফেলে দেন।
পরে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে মরদেহের ছয় টুকরোই উদ্ধার করে পুলিশ, আটক করে জীবন্নাহারকেও। পুলিশ সুপার আরও জানান, এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত রয়েছে কী না পুলিশ তা তদন্ত করে দেখছে।
ঘটনার পর নিহতের বাবা আব্দুল লতিফ বাদি হয়ে শ্রীপুর থানায় একটি মামলা করেছেন। নিহত রফিকুল ইসলাম ও জীবন্নাহিারের চার বছরের একটি সন্তান রয়েছে।
সারাবাংলা/এসএমএন