কাউন্সিলরদের কাছে পরামর্শ চাইলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
২৭ জানুয়ারি ২০১৯ ১৮:০৩
।।সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: নাগরিক সেবার পরিধি বাড়াতে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের সাহায্য ও পরামর্শ চেয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, আমরা একসাথে কাজ করতে চাই, সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে চাই, আপনারা বসেন, আমাদের পরামর্শ দেন। আমরা মন্ত্রণালয় থেকে কীভাবে সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারি।
রোববার (২৭ জানুয়ারি) দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে ‘আধুনিক নাগরিক সেবা ও করণীয়’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে কাউন্সিলররা নিজ নিজ এলাকার নানান সমস্যা তুলে ধরেন। এই সমস্যাগুলোর মধ্যে জলাবদ্ধতা, ফুটপাথ দখল এবং কাউন্সিলরদের ক্ষমতায়ন।
কাউন্সিলরদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, ঢাকায় আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে সমস্যাসহ পেয়েছি। এ শহরের কোনো দীর্ঘমেয়াদী মাস্টারপ্ল্যান ছিল না।
তিনি আরও বলেন, আধুনিক শহর ব্যবস্থার প্রথম দার্শনিক লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি বলেছিলেন, আবাস ও কর্মক্ষেত্রের জন্য ৪০ শতাংশ জায়গা রাখতে হবে, ২৫ শতাংশ থাকবে যোগাযোগের জন্য। বাকিটা উন্মুক্ত উদ্যান ও খেলার জায়গার হন্য রাখতে হবে। ঢাকাতে ৭% যোগাযোগ ব্যবস্থা। আর খেলার জায়গা মাথাতেই রাখা হয়নি। এইসব সমস্যা নিয়ে ঢাকার যাত্রা শুরু হয়েছে।
আমাদের এখন এই সমস্যাগুলো মাথায় নিয়ে বাস্তব সম্মত পরিকল্পনা করতে হবে। সামগ্রিকভাবে কাজ করতে হবে এবং এসব সমস্যার সমাধান একদিনে হবে না।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, স্থপতি মোবাশ্বর হোসেন, ঢাকা ওয়াসার প্রধান নির্বাহী তাকসিন এ খান।
বক্তারা ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সমন্বয়হীনতার নিয়ে কথা বলেন এবং সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বলেন, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন যখন বিভক্ত হয় তখন তার ৪০ ভাগ আয় আসে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কাছে, পক্ষান্তরে ৬০ ভাগ দায় পায় তারা। দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আয়ের উৎস রাজস্বের কোনো অ্যাসসমেন্ট ২৭ বছর ধরে নেই। একটা প্রতিষ্ঠান সব সময় তাদের কাজের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারে না।
মেয়র এসব সমস্যা সমাধানে ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও নগর সরকার প্রক্রিয়ার বাস্তবায়ন দাবি করেন।
সারাবাংলা/এমএ/এনএইচ