Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিমানবন্দর-ঝিলমিল ২২ কিমি সড়কের নকশা প্রণয়ন


২৭ জানুয়ারি ২০১৯ ২২:৪৫

।। সারাবাংলা ডেস্ক ।।

ঢাকা: নগরীর যানজট নিরসনে কেরাণীগঞ্জের ঝিলমিল পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লাইন-৩ নির্মাণের বিস্তারিত প্রকৌশল নকশা (ডিইডি) প্রণয়নের কাজ শেষ হয়েছে।

এ বিষয়ে রোববার (২৭ জানুয়ারি) সড়ক পরিবহন ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘বিমানবন্দর থেকে ঝিলমিল পর্যন্ত বিআরটি লাইন-৩ নির্মাণের কাজ শেষ হলে সড়কের উভয় পাশে ঘণ্টায় ৩০ হাজার যাত্রী পরিবহন সম্ভব হবে।’

১৬টি স্টেশন বিশিষ্ট ২২ কিমি দীর্ঘ বিআরটি লাইন-৩ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কেরাণীগঞ্জের ঝিলমিল পর্যন্ত নির্মাণ করা হবে, বলেও জানান তিনি।

প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত নির্মীয়মান বিআরটির সঙ্গে বিআরটি লাইন-৩-এর আন্তঃসংযোগ সুবিধা থাকবে। এর ফলে যাত্রীরা নির্বিঘ্ন গাজীপুর থেকে ঝিলমিল যাতায়াত করতে পারবেন। মন্ত্রণালয় প্রকল্পটি তিন পর্যায়ে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা নিয়েছে।

প্রথম ধাপে কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দর থেকে মহাখালী পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। দ্বিতীয় ধাপে মহাখালী থেকে গুলশান এবং তৃতীয় ধাপে গুলশান থেকে বুড়িগঙ্গার ওপর দিয়ে কেরাণীগঞ্জের ঝিলমিল পর্যন্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

তিনি জানান, সরকার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের মাধ্যমে এ প্রকল্পের প্রথম ধাপের অর্থায়নের জন্য বিশ্বব্যাংককে অনুরোধ করেছে। আর বিশ্বব্যাংক এ প্রকল্পে তহবিল দিতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে।

এছাড়া সরকার ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসনে ২০ বছর মেয়াদী একটি কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনাও (এসটিপি) বাস্তবায়ন করছে।

বিজ্ঞাপন

এ সড়কে ২৫টি স্টেশন, ৬টি ফ্লাইওভার, উত্তরা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার এলিভেটেড বিআরটি লেন ও ১৬ কিমি ফ্ল্যাট গ্রেড থাকবে। এ সড়কে ১০টি ১৮ মিটার দীর্ঘ আর্টিকুলেটেড বাস চলাচল করবে। ভাড়া আদায়ের জন্য থাকবে ইলেক্ট্রনিক স্মার্ট কার্ড সিস্টেম।

সড়কটি নির্মাণ কাজ শেষ হলে মাত্র ৫০ মিনিটে গাজীপুর ও বিমানবন্দরের মধ্যে আসা-যাওয়া করা যাবে। প্রতি দুই থেকে পাঁচ মিনিটে একটি বাস চলবে। প্রতি ঘণ্টায় সড়কের উভয় পাশে ২৫ হাজার যাত্রী চলাচল করতে পারবে।

সারাবাংলা/এমআই

নকশা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর