Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আপত্তি থাকলেও ব্যাংক কোম্পানি আইন পাস হবে : অর্থমন্ত্রী


১৬ জানুয়ারি ২০১৮ ১৯:৩৯

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ব্যাংক কোম্পানি আইনে আপত্তি আছে, আপত্তি থাকুক, আমি পার্লামেন্টে যাচ্ছি এবং নিশ্চিত আইনটি পাস করে দেব। আমি এটা এর আগে কেবিনেটে পাস করে দিয়েছি।

অর্থ-মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আজ মঙ্গলবার সাংবাদিকবদের এ কথা বলেন।

এর আগে অর্থমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট এ্যানেট ডিকসন এর নেতৃত্ব ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন।

অর্থমন্ত্রী  বলেন, ব্যাংক কোম্পানি আইন নিয়ে আপত্তি আছে আপত্তি থাকুক। যে সব আইন করা হয়, সব আইন নিয়ে অনেকেরই আপত্তি থাকে। তারপরেও আইনটি নিশ্চিত পাস হবে। আইনটি পাস হলে পরিবারের কর্তৃত্ব বাড়বে এমন এক  প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, এখনো ব্যাংকগুলো পরিবার কন্ট্রোল করছে।

নতুন ব্যাংক কোম্পানি আইনে এক পরিবারের চারজন সদস্য টানা ৯ বছর ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে থাকতে পারবে। সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইনে এটা রাখা হয়েছে। বিদ্যমান আইনটিতে এক পরিবারের সর্বোচ্চ ২ জন পরিচালক হিসেবে ৬ বছর থাকতে পারত। নতুন আইনটি সংসদে পাস হলে ব্যাংকগুলোতে একক পরিবারের আধিপত্য আরও বাড়বে।

চায়না হারবার কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত : যোগযোগ সচিবকে ঘুষ দিতে চাওয়ায় চায়না হারবার কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে সরকার। এ বিষয়ে মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, চায়না হারবার কোম্পানি যোগাযোগ সচিবকে ৫০ লাখ টাকা ঘুষের প্রস্তাব দিয়েছে, সচিব বিষয়টি আমাদেরকে অবহিত করেছেন। এই কারণে কোম্পানিটিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। কালো তালিকাভুক্ত করায় কোম্পানিটি অন্য কোন কাজও করতে পারবে না।

বিজ্ঞাপন

অর্থমন্ত্রী বলেন, চায়না হারবার আর কোন কাজ করতে পারবে না। নরমাল নিয়ম হলো ব্লাক লিস্টেট বি ব্ল্যাক লিস্টেট। তারা কোন কাজ পেয়ে থাকলেও সেটাও দেখা হবে কী করা যায়।

ঘুষ দেয়ার প্রস্তাব প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, কাজ পাওয়ার জন্য নয়, আমার মনে হয়, খুশি রাখার জন্য ঘুষ প্রস্তাব দিয়েছে। তার মানে হলো, তারা কাজে চুরি করবে।

বিশ্বব্যাংকের সাহায্যে অব্যাহত থাকবে :  অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশে  আমরা যে সব ঋণ অনুদান দিচ্ছি সরকার সক্ষমতার সঙ্গে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করছে। চলতি তিন বছরে বাংলাদেশকে বিশ্বব্যাংক ৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত ঋণ অনুদান বাড়ানো হয়েছে।

গত ৬ বছর বাংলাদেশ প্রকল্প বাস্তবায়নের সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। তিনি আরো বলেন, অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়েছে। অন্যদিকে অর্থমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে বলেন, বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে কালকে বৈঠক হবে । বৈঠকের আগে তারা আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল।

সারাবাংলা/জিএস/একে

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর