চুয়াডাঙ্গায় সীমান্তের ভারত অংশে বাংলাদেশির ক্ষতবিক্ষত মরদেহ
২৮ জানুয়ারি ২০১৯ ১৭:৩৯
।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর সীমান্তের ওপারে ভারতের মাটিতে ওমিদুল ইসলাম (৩৮) নামে এক বাংলাদেশিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে নাস্তিপুর সীমান্তের ওপারে ভারতের কৃষ্ণনগর অংশে সীমান্তের ৮০ নম্বর ১৬-টি খুঁটি বরাবর কলাবাগানের মধ্যে লাশটি পড়ে থাকতে দেখেন মাঠে কাজ করতে আসা কৃষকরা। খবর পেয়ে ভারতের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতর ওমিদুলের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
সেসময় খবর দেয়া হয় বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়কে (বিজিবি)। ঘটনাস্থলে তারা এসে বিএসফের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করে। বৈঠক থেকেই ওমিদুলের মরদেহ ফেরত চায় বিজিবি। বিএসএফ জানিয়েছে, ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে।
নিহত ওমিদুল ইসলাম দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে।
পারষ্ণপুর-মদনা ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম জাকারিয়া জানান, নাস্তিপুর গ্রামের কৃষকরা সকালে সীমান্ত সংলগ্ন মাঠে কৃষি কাজ করতে যান। এ সময় বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ গজ ভারতের ভেতরে বিজয়নগর অংশে ওমিদুলের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা বিজিবি ফাঁড়িতে খবর দেয়। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর দপ্তরের বিজিবির উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌছে বিএসএফের সাথে বৈঠকে করেন।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস জানান, নিহত বাংলাদেশি ওমিদুলের মরদেহ দেখে ধারণা করা হচ্ছে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের নামে দামুড়হুদা মডেল থানাতে বেশ কয়েকটি মাদক ও চোরাচালানের মামলা রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি পরিচালক ইমাম হাসান জানান, খবর পেয়ে সকালেই নাস্তিপুর সীমান্ত পরিদর্শন করেছেন তারা। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সীমান্তের জিরো পয়েন্টে দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত চাওয়া হয়। তিনি আরও জানান, বৈঠকে বিএসএফের কমান্ডার হোমেশ্বর সিং জানিয়েছেন, চোরাচালানীদের অভ্যান্তরীণ দ্বন্দ্বে ওমিদুলকে হত্যা করা হতে পারে। ময়না তদন্তের পর নিহতের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে।
সারাবাংলা/এসএমএন