শিগগিরই বাজারে আসছে পাটের তৈরি সোনালি ব্যাগ: পাটমন্ত্রী
২৯ জানুয়ারি ২০১৯ ১৩:৫৫
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: যত দ্রুত সম্ভব সরকার পাট থেকে তৈরি সোনালি ব্যাগ বাজারজাতের উদ্যোগ নেবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক। মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে ডেমরার লতিফ বাওয়ানী জুট মিলস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
পাটমন্ত্রী বলেন, পাট আমাদের সম্পদ। আমরা চাই দেশকে ব্র্যান্ডিং করতে। সেজন্য সরকার যত দ্রুত সম্ভব পাট থেকে তৈরি ব্যাগ বাজারজাতে যাবে। ক্ষতিকারক পলিথিন পরিহার ও সোনালী ব্যাগের ব্যবহার বাড়াতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিজেএমসির উদ্যোগে একটি ম্যানুয়েল পাইলট প্ল্যান্ট দিয়ে সোনালী ব্যাগ তৈরির কাজ চলছে। বাংলাদেশে এই প্রথম পাট থেকে পলিথিনের ব্যাগ তৈরি হচ্ছে। আমরা চাই সারাবিশ্বে পাটের ব্যবহার ছড়িয়ে দিতে। বাংলাদেশকে সবাই এই পাটের মাধ্যমে আরও বেশি বেশি সম্মান দেবে।
তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার থেকে যে বাজেট লাগবে আমি সেটার ব্যবস্থা করব। সরকারের পাশপাশি ব্যক্তিগত মালিকানায়ও এটির বিস্তার বাড়ানো হবে। এখন আর কোনো পাট নষ্ট হবে না।
সোনালী ব্যাগের উদ্ভাবক ও বিজেএমসির বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ড. মোবাবক হোসেন এসময় বলেন, ২০০৮ সাল থেকে আমি গবেষণা শুরু করেছি। একদিনে হয়নি, বহুদিন লেগেছে আমার। সরকার যে সাপোর্ট দিয়েছে তাতে আশার আলো দেখতে পারছি। এজন্য আরও নতুন মেশিন দরকার। অটোমেশন করতে হলে বাইরের মেশিন দরকার। সেই মেশিনগুলো আমাদের নেই। বর্তমানে আমাদের মেশিন দিয়ে ৪০ মিনিটে ৫০ ফিট পলিথিন তৈরি হচ্ছে। দৈনিক ঢাকা শহরে ৪০০-৫০০ টন পলিথিন দরকার। এজন্য পাটের উৎপাদন বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, ৩ টন পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন করতে ১৭০ কোটি টাকা প্রয়োজন। এজন্য বাজেট দরকার।
ড. মোবাবক হোসেন আরও বলেন, পাটের ব্যাগ পলিথিন ব্যাগের চেয়ে দেড়গুণ বেশি শক্তিশালী ও পরিবেশবান্ধব। সরকারের কাছে আবেদন এটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে খুব শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। এই ব্যাগ পচনশীল। এটিতে কোনো ধরনের প্লাস্টিক নেই। তাই পরিবেশের কোনো ক্ষতি করে না। এটা রিসাইকেল করা যায় যা পলিথিনে করা যায় না।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বস্ত্র ও পাট শিল্প মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো মিজানুর রহমান, বিজেএমসির চেয়ারম্যান শাহ মো. নাসিমসহ প্রমুখ।
সারাবাংলা/এসজে/এনএইচ