বিমানবন্দর আধুনিকায়নের দাবি নভোএয়ার এমডির
২৯ জানুয়ারি ২০১৯ ১৭:১২
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এখনো ৪০ বছর আগের এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বিদ্যমান, পাখি তাড়াতে ভরসা এয়ারগান—এমন চিত্র তুলে ধরে বিমানবন্দরের আধুনিকায়নের দাবি তুললেন বেসরকারি উড়োজাহাজ পরিচালানা সংস্থা নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান।
মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে হোটেল সোনারগাঁও-এ নভোএয়ার আয়োজিত এয়ারলাইনের নিরাপত্তা উন্নয়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মফিজুর রহমান বলেন, ‘বিমানবন্দরে বার্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম খুবই পুরান। বিশ্ব যেখানে এগিয়ে গিয়ে ড্রোনসহ অত্যাধুনিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে সেখানে এখনো শাহজালালে এয়ারগান দিয় পাখি তাড়ানো হয়।এয়ার নেভিগেশন সুবিধা যুগোপযোগী নয়। এর কাজ দ্রুত আধুনিকায়ন হচ্ছে না। যাত্রীদের মধ্যেও সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে।’ এ ছাড়া তিনি উড়োজাহাজের নিরাপত্তায় বিমানবন্দরের সিকিউরিটি বাড়ানোর ওপর জোর দেন। নতুবা উড়োজাহাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে না বলেও জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের অভ্যন্তরীণ যশোর ও সৈয়দপুর বিমানবন্দরের রানওয়ের সারফেস ভালো নয়। এতে চাকা ফেঁটে যাওয়া কিংবা উড়োজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাছাড়া উড্ডয়নের সময় রানওয়ে উচু নিচু হওয়ায় যথেষ্ট ঝাঁকি লাগে।’
উড়োহাজাজের নিরাপত্তায় নভোএয়ার সম্প্রতি ৩ রেটিং পেয়েছে। এছাড়া দেশে বেসরকারি এয়ারলাইন্সের মধ্যে সেবার দিক দিয়ে নভোয়ার সব থেকে এগিয়ে আছে বলেও উল্লেখ করেন মফিজুর রহমান।
হ্যাঙ্গার না থাকায় আইওএসএ অডিট করাতে পারছেন না অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড পেলে আমরাও অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারতাম। এরপরেও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আমাদের পরীক্ষা পদ্ধতি অনুসরণ করে এবং নিয়োগের ক্ষেত্রে নভোএয়ারের বৈমানিকদের অগ্রাধিকার দেয়। পাইলটদের মানসিক সুস্থতার জন্য সাইকোমেট্রিক ও সাইকোলজিক্যাল প্রোফাইলিং পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ দিয়ে থাকে। অপারেশন ও টেকনিক্যাল বিষয়ে অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দেয়, যাতে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। আর এসব কারণে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ নভোয়ারকে এয়ারলাইন্স কন্টিনিউয়াস এয়ারওর্দিনেস ম্যানেজমেন্ট অর্গানাইজেশন (ক্যামো)-এর সার্টিফিকেশন দিয়েছে’—জানান তিনি।
এছাড়া সভায় উড়োজাহাজ নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরাও বক্তব্য রাখেন।
সারাবাংলা/এমআই