সিলেটের উন্নয়নে নজর রাখছেন আব্দুল মোমেন
২৯ জানুয়ারি ২০১৯ ২০:৪৯
।। এমএকে জিলানী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চেয়ারে বসেই সিলেটের উন্নয়নের দিকে নজর রাখছেন ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। সিলেটের যোগাযোগ খাতের উন্নয়ন নিশ্চিতে বন ও পরিবেশ মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এবং প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. ইমরান আহমদের সঙ্গে মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন। এই সময়ে বিমানমন্ত্রী শাহজাহান কামালও টেলিফোনে তাদের সঙ্গে ওই বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন বলেন,‘উন্নয়ন কাজকে আরো কীভাবে বেগবান করা যায়, সে বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করতে আমরা ৩ জন বৈঠকে বসেছিলাম। আমাদের সঙ্গে টেলিফোনে বিমানমন্ত্রী এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। অনেকগুলো উন্নয়ন প্রকল্পই প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন করেছে, সেগুলোর জন্য বাজেটও বরাদ্দ হয়েছে। ওই প্রকল্পগুলোর সার্বিক অবস্থা এবং উন্নয়নের গতি আরো বাড়াতেই আমরা বৈঠক করলাম। এটা এক ধরনের দায়বদ্ধতা থেকে বৈঠক করা বলতে পারেন।’
প্রকল্পগুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী নির্দিষ্ট না করে বলেন, ‘বিমানবন্দর, পানি-বন্যা কীভাবে দূর করা যায়, রাস্তাঘাট-ওয়াসার সেবা আরো কীভাবে বাড়ানো যায়, এগুলো।’
প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. ইমরান আহমদকে দেখিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা দুইভাই। এসব বিষয়ে একে অপরকে কীভাবে সহায়তা করতে পারি, সেগুলো নিয়েও কাজ করলাম।’
এদিকে, একাধিক বিশ্বস্ত সূত্র সারাবাংলা’কে নিশ্চিত করেছে যে ওই বৈঠকটি মূলত সিলেটের উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে।
সূত্রগুলো জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার পর রেলওয়ে বিভাগকে প্রথম চাহিদা পত্র (ডিও) দিয়েছেন। ওই চাহিদা পত্রে মন্ত্রী ৪টি সুপারিশ করেছেন। সুপারিশগুলো হচ্ছে, ১) জরুরি ভিত্তিতে চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে প্রচলিত ট্রেনসমূহে আরামদায়ক উন্নতমানের নতুন বগি সংযোজন, একই রুটের প্রতিটি ট্রেনে অন্তত দুইটি করে এয়ারকন্ডিশন কোচ এবং এয়ারকন্ডিশন কার সংযোজন। ২) সিলেট-ঢাকা রুটে নতুন একটি সরাসরি ট্রেনের যোগাযোগ চালুকরণ। ৩) সিলেট-ঢাকা রুটে ব্রডগেজ বা ডুয়েলগেজ (যেটি তাড়াতাড়ি সম্ভব) চালু করা। ৪) প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সিলেট-ঢাকা ‘বুলেট ট্রেন’ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
সারাবাংলা/জেআইএল/এমএইচ