শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ: আদালতে দোষ স্বীকার আসামির
২৯ জানুয়ারি ২০১৯ ২৩:১১
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
চট্টগ্রাম: নগরীতে প্রাইভেটকারে তুলে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে আসামি শ্যামল দে। এই অভিযোগে অভিযুক্ত শ্যামলের অপর সহযোগী শাহাবুদ্দিন পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সন্দেহভাজন ধর্ষকের মৃত্যু
মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম খাইরুল আমীনের আদালতে শ্যামল দে জবানবন্দি দিয়েছে।
কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে শ্যামল দে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। পুরো ঘটনার বিস্তারিত বিবরণও দিয়েছে এই আসামি।’
আরও পড়ুন: ধরন দেখে অপরাধী চক্র শনাক্ত, ‘ওরা গাড়ি চালক’
প্রসঙ্গত, গত ২৭ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর কোতোয়ালী থানার জামালখানে পিডিবি আবাসিক কোয়ার্টারের সামনে থেকে স্থানীয় একটি মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্রীকে প্রাইভেটকারে তুলে নেয় শাহাবুদ্দিন ও শ্যামল। তারা গাড়িটি নির্জন সার্সন রোডে নিয়ে গিয়ে গাড়ির ভেতরেই ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ধারণের অভিনয় করে তারা। পরে সেই ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করে। এরপর ওই ছাত্রীকে নগরীর গণি বেকারির মোড়ে নামিয়ে দেয়। ওই ছাত্রী কোতোয়ালী থানার ওসিকে এ বিষয়ে অভিযোগ করলে পুলিশ তাদের গ্রেফতার অভিযানে নামে।
সোমবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে নগরীর সিরাজউদ্দৌলা রোড থেকে ওই ছাত্রীকে আবারও প্রাইভেট কারে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে দুজন। এ সময় আগে থেকে সেখানে অবস্থান নেওয়া পুলিশ সদস্যরা তাদের ধাওয়া দেয়। তারা দ্রুতগতিতে প্রাইভেটকার চালিয়ে লালদিঘীর পাড়ে এসে গাড়িটি ফেলে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। এ সময় মো. শাহাবুদ্দিন (২৩) ও শ্যামলকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে মো. শাহাবুদ্দিন পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয় বলে জানান কোতোয়ালী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।
সারাবাংলা/আরডি/এসবি