ডিএমপির মাসিক অপরাধ সভা: ব্লক রেইড ও শৃঙ্খলায় গুরুত্বারোপ
১৬ জানুয়ারি ২০১৮ ২১:৫৬
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
জঙ্গি, সন্ত্রাস ও মাদক প্রতিরোধে ঢাকা মহানগর এলাকায় ব্লক রেইড (সাড়াশি) অভিযান বৃদ্ধি এবং রাজধানীবাসীর সঙ্গে ভালো ব্যবহার বজায় রাখার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
মঙ্গলবার ডিএমপি হেড কোয়ার্টার্সে গত ডিসেম্বর মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এমনই নির্দেশনা দেন তিনি।
সভা সূত্রে জানা গেছে, ডিএমপি কমিশনার নির্দেশনায় বলেন, ‘রাজধানীকে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ থেকে মুক্ত করতে এবং নগরবাসীকে সুরক্ষিত রাখতে ব্লক রেইড করা জরুরি। তবে আমাদের উদ্দেশ্য কাউকে হয়রানি করা নয় বরং নিরাপত্তা ও সেবা নিশ্চিত করা। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স থাকতে হবে। মাদক চোরাচালানে যেই জড়িত থাকুক না কেন, কোন ধরণের ছাড় দেওয়া হবে না।’
এ ছাড়াও রাজধানীরবাসীর সঙ্গে আরও ভালো ব্যবহার করার জন্য পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দেন তিনি। যাতে থানায় সাহায্যের জন্য এসে কেউ নিরাশ হয়ে ফিরে না যান। পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের শৃঙ্খলা বদ্ধ রাখার ব্যাপারেও কর্মকর্তাদের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
এ সময় ডিসেম্বর মাসে ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পুলিশ সদস্যদের পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।
পুরস্কার প্রাপ্তদের তালিকায় রয়েছেন- ডিসেম্বর মাসে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের শ্রেষ্ঠ বিভাগ হয়েছে তেজগাঁও বিভাগ। গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের শ্রেষ্ঠ বিভাগ হয়েছে ডিবি (পশ্চিম) বিভাগ। ট্রাফিকের শ্রেষ্ঠ বিভাগ নির্বাচিত হয়েছে ট্রাফিক (উত্তর) বিভাগ।
এ ছাড়া হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনে সম্মিলিতভাবে কাউন্টার টেরোরিজমের অতিরিক্তি উপপুলিশ কমিশনার মো. জাহিদুল হক তালুকদার, ডেমরা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলাম, কদমতলী থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাজু মিঞা, তেজগাঁও থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেন্টু মিয়া ও রমনা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলী হোসেন পুরস্কৃত হয়েছেন।
অপহৃত শিশু ও ভিকটিম উদ্ধারে যৌথভাবে পুরস্কৃত হয়েছেন ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিম সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. গোলাম সাকলায়েন ও কামরাঙ্গীরচর থানা এসআই শাহানারা বেগম।
সারাবাংলা/এসআর/ইউজে/এমআই