Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আজ মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন গভর্নর


৩০ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:২১

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: ২০১৮-১৯ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন, ২০১৯) মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে আজ বুধবার (৩০ জানুয়ারি)। এক সংবাদ সম্মেলনে মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে গুরুত্ব দিয়ে চূড়ান্ত করা হয়েছে চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় মেয়াদের নতুন মুদ্রানীতি। এতে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে, যার প্রবৃদ্ধি সর্বশেষ মুদ্রানীতির লক্ষ্যমাত্রার সমান বা কাছাকাছি নির্ধারণ করে তা বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।

এছাড়াও নতুন মুদ্রানীতিতে রেমিট্যান্স প্রবাহ অব্যাহত রাখা, খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার বিষয়েও থাকছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। অন্যদিকে, মূল্যস্ফীতি সহনীয় রেখে একক ব্যক্তিকে বড় বড় ঋণ দেওয়ার পরিবর্তে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ (এসএমই) খাত এবং নারী উদ্যেক্তাদের জন্য ঋণ প্রবাহ বাড়ানোর বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, নতুন মুদ্রানীতির মাধ্যমে ব্যাংকের তারল্য প্রবাহ বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ থাকছে। বিশেষ করে ব্যাংক ঋণের সুদের হার কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। একইসঙ্গে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর বিষয়েও নতুন মুদ্রানীতিতে জোর দেওয়া হয়েছে। দেশে দীর্ঘ সময় ধরে বিনিয়োগে মন্দা কাটাতে এবারের মুদ্রানীতিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর কৌশল নির্ধারণ করা হচ্ছে।

চলতি অর্থবছরের প্রথমার্থে তারল্য সংকটের কারণে ব্যাংকগুলো লক্ষ্য অনুযায়ী বিনিয়োগ করতে পারেনি। ফলে অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর কৌশল থাকছে।

বিজ্ঞাপন

সূত্র জানায়, সর্বশেষ ঘোষিত মুদ্রানীতিতে (জুলাই ’১৮ থেকে ডিসেম্বর ’১৮) বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। ওই মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৬ দশমিক ৮০ শতাংশ। কিন্তু এই লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জিত হয়েছে মাত্র ১৩ দশমিক ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি। এটি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২১ দশমিক ৪২ শতাংশ কম। এতে করে একদিকে ব্যাংকের আমানতের সংগ্রহ প্রবাহ কমছে, বিপরীতে বেড়েছে খেলাপি ঋণ।

ফলে কমে যাচ্ছে ব্যাংকের বিনিয়োগ সক্ষমতা। ফলে বেড়ে যাচ্ছে বিনিয়োগ ব্যয়ও। এছাড়াও রাজস্ব আদায়েও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে করে বেড়ে যাচ্ছে সরকারের ব্যাংক ঋণের পরিমাণ। নতুন মুদ্রানীতিতে এ বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

সারাবাংলা/জেএইচ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর