Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রিজার্ভ চুরি: নিউইয়র্কে মামলা হচ্ছে আজ


৩০ জানুয়ারি ২০১৯ ১৫:১২

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার রিজার্ভ চুরির ঘটনায় আজ বুধবার (৩০ জানুযারি) নিউইয়র্কে মামলা দায়ের করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবির।

তিনি জানান, নিউর্য়কের ফেডারেল সাউদার্ন কোর্টে মামলাটি দায়ের করা হবে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দল সেখানে অবস্থান করছে।

বুধবার দুপুরে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় গর্ভনর এসব তথ্য জানান। এসময় তিনি বলেন, নিউইয়র্ক সময় ৩০ জানুয়ারির মধ্যে মামলাটি দায়ের করা হবে। এরই মধ্যে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে কার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে এবং কত টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হবে, তা শিগগিরই জানানো হবে।

ফজলে কবির বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় কারা লাভবান হয়েছেন; কোথায় থেকে কিভাবে কিছু টাকা ফেরত আনা হয়েছে; সুইফট, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক ও আরসিবিসি— কার কী ভূমিকা, তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। মামলা দায়ের করতে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আইনি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে সব চূড়ান্ত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় গঠিত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না করা প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়ের করা মামলা তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। একটি তদন্ত চলাকালীন আরেকটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলে চলমান তদন্তে প্রভার পড়তে পারে। তবে প্রতিবেদন প্রকাশ করার এখতিয়ার সরকারের। এখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো করণীয় নেই। সিআইডির প্রতিবেদন পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের রির্জাভ থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করে নেয় হ্যাকাররা। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা তিন বছর পূর্ণ হতে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এই অর্থ চুরি করা হয় । চুরি হওয়া অর্থের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ২ কোটি ডলার এবং বাকি ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার প্রথমে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় অবস্থিত রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) একটি শাখায় পাঠানো হয়। পরবর্তী সময়ে এই অর্থ আরসিবিসি থেকে চলে যায় ফিলিপাইনের জুয়ার আসরে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের রির্জাভ থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হওয়ার ১০ মাসের মধ্যে ৩ কোটি ৪৫ লাখ ডলার ফেরত আনা হয়। এর মধ্যে রিজার্ভ চুরির ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার আগেই ২০১৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কা থেকে ২ কোটি ডলার ফেরত আনা হয়। একই বছরের ১২ নভেম্বর ফিলিপাইন থেকে আরও ১ কোটি ৪৫ লাখ ডলার ফেরত আনা হয়েছে। পরবর্তী ২ বছরের বেশি সময়ে আর কোনো টাকা উদ্ধার করা যায়নি। ফলে ফিলিপাইনে থাকা অবশিষ্ট ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার (৫৫৭ কোটি টাকা) এখনও ফেরত আনা সম্ভব হয়নি। আর এই আর্থ ফেরত আনতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন মামলা করতে যাচ্ছে।

এর আগে, গত ২০ জানুয়ারি সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালও জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় নিউইয়র্কের আদালতে মামলা করা হবে জানুয়ারি মাসেই।

সারাবাংলা/জিএস/জেএএম

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক রিজার্ভ চুরি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর