Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলনের প্রত্যয় নিয়ে সংসদ শুরু


৩০ জানুয়ারি ২০১৯ ১৯:৪১

।। আজমল হক হেলাল, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: নিয়মতান্ত্রিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হলো একাদশ জাতীয় সংসদের পথচলা। দশম সংসদের মতো এই সংসদেও স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া। এরই মধ্যে সংসদের উদ্বোধনী এই অধিবেশনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রেখেছেন স্পিকার, বক্তব্য রেখেছেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। পরে আলোচনা করেন বিরোধী দলীয় উপনেতাসহ সরকার দলীয় সংসদ সদস্যরা। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদও ভাষণ রাখেন সংসদে। তাদের সবাই-ই প্রত্যয় জানিয়েছেন, সংসদ জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার কেন্দ্রে পরিণত হবে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় দশম জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে। এরপরই নির্বাচন করা হয় স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার। এই দুই পদে আগের সংসদের দায়িত্ব পালনকারী দু’জনই ফের নির্বাচিত হন। স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচনের পর সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।

আরও পড়ুন- ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে: রাষ্ট্রপতি

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি এটুকু আশ্বাস দিতে পারি, আমাদের বিরোধী দলে যারা আছেন, তারা যথাযথভাবে সমালোচনা করতে পারবেন। এখানে আমরা কোনো বাধা দেবো না। আমরা কোনোদিন বাধা দেইনি, দেবোও না।

অধিবেশন শুরুর পরপরই স্পিকার পদে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর নাম প্রস্তাব করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এটি সমর্থন করেন চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন। স্পিকার পদে আর কোনো নাম না থাকায় কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।

বিজ্ঞাপন

স্পিকার নির্বাচনের পর সংসদের অধিবেশন ৩০ মিনিটের জন্য মুলতবি রাখা হয়। এই সময়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ নবনির্বাচিত স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে শপথবাক্য পাঠ করান। প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনাসহ সরকার ও বিরোধী দলের সিনিয়র সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এরপর আবার সংসদ অধিবেশনের কাজ শুরু হয় স্পিকারের নেতৃত্বে। শুরুতে তিনি ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিচালনা করেন। এসময় ডেপুটি স্পিকার পদে অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার নাম প্রস্তাব করেন হুইপ আতিউর রহমান আতিক। এ প্রস্তাব সমর্থন করেন আরেক হুইপ ইকবালুর রহিম। পরে কণ্ঠভোটে সর্বসম্মতিক্রমে ডেপুটি স্পিকার হিসেবে নির্বাচন করা হয় তাকে। অধিবেশন চলাকালেই রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে শপথবাক্য পাঠ করেন ডেপুটি স্পিকার।

এদিকে, অধিবেশনের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।  এসময় তিনি ৩০ ডিসেম্বরের অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় দেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানান।

সুশাসন প্রতিষ্ঠায় একাদশ জাতীয় সংসদ বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। উন্নয়নের অভীষ্ঠ লক্ষ্য অর্জনে একাদশ জাতীয় সংসদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আসুন, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি।

শিরীন শারমিন বলেন, আপনারা আজ স্পিকার হিসেবে যে দায়িত্ব অর্পণ করেছেন, তা যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করব। সংসদ পরিচালনায় আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি।

আরও পড়ুন- সংসদে সরকারের সমালোচনায় বিরোধী দল বাধাহীন থাকবে: প্রধানমন্ত্রী

এদিকে, শুভেচ্ছা বক্তব্যে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, গণতন্ত্রের বিকল্প কেবল গণতন্ত্রই। গণতন্ত্রে নির্বাচনের বিকল্প নেই। তাই একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন আমাদের গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতায় একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন। নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানো এবং গণতন্ত্রের ভিতকে আরও মজবুত করতে আপনাদের নিরলস প্রয়াস অব্যাহত থাকবে বলে আমার বিশ্বাস।

ডেপুটি স্পিকার বলেন, দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজেদের নিবেদিত হতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রয়াসে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব— এটাই জনগণের প্রত্যাশা। এসময় অতীতের সব ভুল ও ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে উন্নতি ও অগ্রগতির পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

এর আগে, সংসদ ভবনের নবম তলায় অবস্থিত সরকারি দলের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় স্পিকার, ডেপুটি স্পিকারের নাম চূড়ান্ত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার পদে নির্বাচনের পর তাদের অভিনন্দন জানায় নতুন সংসদ।

ডেপুটি স্পিকার

পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম নবনির্বাচিত স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে আলোচনার সূত্রপাত করেন। প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা, বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের, বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু আলোচনায় অংশ নেন।

আরও পড়ুন- একাদশ সংসদের অধিবেশন শুরু, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা নবনির্বাচিত স্পিকারকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আশা করি এই সংসদও কার্যকর হবে। প্রাণবন্ত হবে। মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার কেন্দ্রে পরিণত হবে বর্তমান সংসদ। তিনি এসময় বিরোধীদলের সদস্যদেরও অভিনন্দন জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, গণতান্ত্রিক ধারায় সমালোচনা সবসময় গুরুত্বপূর্ণ। আমি বিরোধী দলের সদস্যদের আশ্বাস দিতে পারি যে তারা যথাযথভাবে সমালোচনা করতে পারবেন। এখানে আমরা কোনো বাধা তৈরি করব না। কোনোদিন আমরা বাধা দেইনি, দেবোও না।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, অনেক ঘাত-প্রতিঘাত, অনেক চড়াই-উৎড়াই পার হয়ে আমরা একটা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছি। কারণ এবারের নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ, মা-বোনেরা, প্রথম যারা ভোটার তারা, তরুণ ভোটাররা সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছে। একটি সফল নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এই সংসদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই এবং কৃতজ্ঞতা জানাই।

স্পিকারের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সংসদ নেতা হিসেবে আমার দায়িত্ব সংসদের সব সদস্যের অধিকার যেমন দেখা, সেইসঙ্গে আপনি স্পিকার হিসেবে সব সদস্য যেন সমান সুযোগ পায়, সেটা দেখবেন। এখানে সরকারি দল, বিরোধী দল সবাই যেন সমান সুযোগ পায়, অবশ্যই আপনি সেটা দেখবেন। এ বিষয়ে আমরা আপনাকে সব ধরনের সহযোগিতা করব।

সংসদ নেতা বলেন, ‘গণতন্ত্রই একটি দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আর তা আজ বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রমাণিত সত্য। আজ আমরা আর্থসামাজিকভাবে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছি। এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বাংলাদেশের জনগণকে একটি ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে স্বপ্ন, যে স্বপ্ন নিয়ে তিনি এ দেশকে স্বাধীন করেছিলেন, সেই ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা আমরা ইনশাল্লাহ গড়ে তুলব। এটাই আমাদের লক্ষ্য।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ যেহেতু ভোট দিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচিত করে এবং আমরা যারা প্রতিনিধিরা বসেছি, সবাই কিন্তু জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এসেছি। জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে এখানে আমরা আমাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করব। আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে, আমাদের ভোটাররা, যারা নির্বাচিত করে এখানে পাঠিয়েছে, তাদের সার্বিক উন্নয়ন, তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ এবং দেশে যেন একটা শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করে— তা নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ জঙ্গিমুক্ত, মাদকমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত ও একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে যেন গড়ে ওঠে এবং দেশের মানুষের জীবনে যেন শান্তি-নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়, সেটাই আমাদের সবসময় লক্ষ্য রাখতে হবে।’

আরও পড়ুন- ‘যাদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি, তাদের স্বার্থ সংরক্ষণই লক্ষ্য’

শেখ হাসিনা বলেন, অতীতে চমৎকার পরিবেশে সংসদ পরিচালিত হয়েছিল বলেই আমরা মানুষের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছিলাম। আবার আমরা যেহেতু সংসদে নির্বাচিত হয়ে এসেছি, অবশ্যই জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব। এটাই আমাদের লক্ষ্য।

তিনি বলেন, ‘এই সংসদে বাংলাদেশের জনগণ আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। আজকে সেই সংসদ আপনাকে স্পিকার হিসেবে নির্বাচিত করেছে এবং ডেপুটি স্পিকার হিসেবে আমাদের ফজলে রাব্বী সাহেবকে নির্বাচিত করেছে। আমি আপনাকে ও ডেপুটি স্পিকারকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।

বিরোধীদলীয় উপনেতা ও জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের নবনির্বাচিত স্পিকারকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, সংখ্যায় কম হলেও আমরা মনে করি সঠিকভাবে আমাদের কথা এখানে তুলে ধরতে পারলে সংসদ প্রাণবন্ত ও কার্যকর হবে। মানুষ সংসদকে গুরুত্ব দেবে। সংসদ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রাণকেন্দ্র পরিণত হবে।

আরও পড়ুন- শপথ নিলেন একাদশ সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া

তিনি প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আমরা সংসদে কথা বলব। সরকারের ভুল-ত্রুটি তুলে ধরব। আমাদের কথা গুরুত্ব দিলে সংসদ প্রাণবন্ত ও কার্যকর হবে।

আলোচনায় তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা একটি সোনালি যুগে প্রবেশ করেছি। তার নেতৃত্বে সরকারের এই উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাকে এগিয়ে নিতে হবে।

ওয়ার্কার্স পার্টির প্রধান রাশেদ খান মেনন বলেন, আমরা সরকারে না বিরোধী দলে— চারদিকে এ নিয়ে কথা হচ্ছে। গণতন্ত্রের স্বার্থে আমরা অতীতের মতো আগামীতেও কার্যকর ভূমিকা রাখব।

আরও পড়ুন- চিফ হুইপ হলেন নূর-ই আলম চৌধুরী

জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, আমরা বিপুল বিজয় অর্জন করেছি। এই জয়কে সংহত করতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

এর আগে আলোচনার সূত্রপাত করে শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, সংসদ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার কেন্দ্রবিন্দু। সংসদ কার্যকর রাখতে স্পিকারের ভুমিকাই মুখ্য। তাই স্পিকার নিরপেক্ষ থাকবে— এমনটাই মানুষ আশা করে।

তিনি আরও বলেন, স্পিকারের নিরপেক্ষ আচরণ গণতন্ত্রকে সুসংহত করে। আমরা আশা করব, এই সংসদকে কার্যকর করতে আপনি সব ধরনের উদ্যোগ নেবেন। আন্তর্জাতিক মহলে আপনি একটি ভালো সুনাম (গুডউইল) তৈরি করেছেন কর্মের মাধ্যমে। অতীতে এই সংসদ আপনি দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। আপনার কারণে বিশ্বে আমাদের সংসদের মর্যাদা বেড়েছে। সংসদ হোক মানুষের অশা-আকাঙ্ক্ষার একমাত্র কেন্দ্রবিন্দু।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

একাদশ জাতীয় সংসদ একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন একাদশ সংসদের উদ্বোধনী অধিবেশন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

শরৎ বাংলাদেশের কোমল স্নিগ্ধ এক ঋতু
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৪

সম্পর্কিত খবর