মানিলন্ডারিং মামলায় ক্রিসেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান কাদের গ্রেফতার
৩০ জানুয়ারি ২০১৯ ২০:৪৭
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে ৯১৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ক্রিসেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ কাদেরকে গ্রেফতার করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। বুধবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলনে কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, ‘মামলার অন্যতম আসামি ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেড ও ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম এ কাদেরকে বিকেল সাড়ে ৩টায় কাকরাইল থেকে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর কর্তৃক গ্রেফতার করা হয়েছে।’
‘শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর কর্তৃক বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের বিষয়ে অনুসন্ধান সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেড ৪২২ কোটি ৪৬ লাখ, রিমেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড ৪৮১ কোটি ২৬ লাখ এবং ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেড ১৫ কোটি ৮৪ লাখ মোট ৯১৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এই অপরাধে রাজধানীর চকবাজার থানায় ১৭ জনকে আসামি করে তিনটি মামলা দায়ের করেছে শুল্ক গোয়েন্দা’—জানান তিনি।
এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর কর্তৃক মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (সংশোধিত ২০১৫) অনুযায়ী রিমেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিসেস লিটুল জাহান (মিরা) এবং অন্য দুটি প্রতিষ্ঠান ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেড ও ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম এ কাদের এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিসেস সুলতানা বেগম (মনি) ও জনতা ব্যাংক লিমিটেডের সংশ্লিষ্ট ১৩ জন কর্মকর্তাকে আসামি করে চকবাজার মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে।’
‘ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেড প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে জনতা ব্যাংক লিমিটেড ইমামগঞ্জ করপোরেট শাখা থেকে রফতানি বিল ক্রয় করা হয়েছে। কিন্তু চার মাসের মধ্যে প্রত্যাবাসিত হয়নি এরূপ বিলের সংখ্যা ২১৫টি, জড়িত অর্থের পরিমাণ ৪২৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। পরবর্তী সাত মাসে অর্থাৎ ৩১ অক্টোবর, ২০১৮ পর্যন্ত ২১৫টি বিলের মধ্যে মাত্র তিনটি বিলের বিপরীতে ৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা প্রত্যাবাসিত হয়েছে। অতএব, অদ্যাবধি ২১২টি বিলের বিপরীতে ৪২২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা অপ্রত্যাবাসিত রয়েছে,—বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘তথ্য পর্যালোচনা করে স্পষ্টতই প্রমাণিত হয় যে, জনতা ব্যাংক ইমামগঞ্জ করপোরেট শাখা, ঢাকার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ, একই ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের এফটিডি (এক্সপোর্ট)-এর তৎকালীন ডিজিএম এবং জিএম এবং বিভাগীয় কার্যালয়, ঢাকা-দক্ষিণ এর তৎকালীন জিএম এবং ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেড-এর মালিকগণ পারস্পরিক যোগসাজসে ৪২২ কোটি ৪৬ লাখ টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে পাচার করেছেন।’
সারাবাংলা/এসজে/এমআই