সেবা-নিরাপত্তায় বাসযোগ্য ঢাকার অঙ্গীকার ডিএমপি কমিশনারের
৩০ জানুয়ারি ২০১৯ ১৯:২১
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: রাজধানী ঢাকা শহরকে নিরাপত্তার পাশাপাশি সেবার মাধ্যমে ‘সেইরকম’ বাসযোগ্য শহরে পরিণত করার অঙ্গীকার করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
তিনি বলেন, দিনে ও রাতে মা-বোনেরা বাইরে বের হবে, কেউ তাদের বিরক্ত করবে না। ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবে, কেউ চাঁদা চাইবে না। প্রবাসী ভাইয়েরা জমি-ফ্ল্যাট কিনবে, কেউ জোর করে তা দখল করবে না। আমরা ঢাকাকে সেইরকম বাসযোগ্য শহর হিসেবে গড়তে চাই।
বুধবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত এক র্যালিতে অংশ নিয়ে কমিশনার এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, এবারের পুলিশ সপ্তাহ থেকে আমরা শিক্ষা নিতে চাই, সেবার মানসিকতা নিয়ে আমরা দায়িত্ব পালন করব। অযথা কাউকে হয়রানি করা হবে না। থানায় গিয়ে মানুষ যেন কাঙ্ক্ষিত সেবা পায়, কোনো পুলিশ সদস্য যেন বখশিষের নামে উৎকোচ নিতে না পারে, পুলিশের কোনো সদস্য যেন ক্ষমতা প্রয়োগ করতে না পারে, তারা যেন নিরীহ লোকের পাশে থেকে সাহস জোগাতে পারে— সেটা আমরা নিশ্চিত করতে চাই।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, আমরা অঙ্গীকার করতে চাই, নগরবাসীর সহায়তায় এই শহরে কোনো মাদক থাকবে না, মাদকের কোনো আস্তানা থাকবে না। যেখানেই মাদক, সেখানেই পুলিশের যুদ্ধ করতে হবে। এই শহরে কোনো ছিনতাই থাকবে না, ছিনতাইয়ের ভয়ে কেউ ঘর থেকে বের হবে না— এমনটা থাকবে না। একটি নিরাপদ নগরী সবাইকে উপহার দিতে চাই।
জঙ্গিবাদ নিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, গুলশানে হলি আর্টিজানে হামলার পর আমরা একের পর এক জঙ্গি আস্তানা গুঁড়িয়ে দিয়েছি। ভেঙে ফেলেছি জঙ্গি নেটওয়ার্ক। জঙ্গিবাদ আর আগামীতে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। তেমনিভাবে মাদকের গডফাদারদেরও মাজায় রশি পড়িয়ে আইনের আওতায় আনা হবে। মাদক ব্যবসায়ীরা যত বড়ই হোক, যত শক্তিশালীই হোক, আর যে শ্রেণি পেশারই হোক না কেন— তাদের আইনের আওতায় আনতে সময় লাগবে না।
ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে কমিশনার বলেন, নগরবাসীকে যানজট থেকে মুক্তি দিতে বিভিন্নভাবে কাজ করছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। রাতদিন পরিশ্রম করে পুলিশ স্বস্তি আনতে চেষ্টা করছে। কিছু পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। সেগুলো বাস্তবায়ন হলে নগরীতে যানজট সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। এক্ষেত্রে জনগণ আগের চেয়ে অনেক সচেতন হচ্ছে, আগামীতে সবাই আরও বেশি সচেতন হবে।
নতুন নতুন পরিকল্পনা, সিসিটিভি স্থাপন ও কল সেন্টার হওয়ায় নগরীতে অপরাধের মাত্রা প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এরপরও দুয়েকটি ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছে। অপরাধীকে পাকড়াও করা হচ্ছে। অপরাধী আর পালাতে পারবে না। কারণ ৮০ লাখ লোকের ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে। অপরাধী যেখানেই যাক না কেন, তাকে ধরা খুব সহজ হয়েছে।
সারাবাংলা/ইউজে/টিআর