পরিবেশ আইন লঙ্ঘন: শিপইয়ার্ডসহ ১৬ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
৩০ জানুয়ারি ২০১৯ ২০:৪৭
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম অঞ্চলে পরিত্যক্ত জাহাজ কাটার কারখানা, ১৪টি ইটভাটাসহ মোট ১৬টি প্রতিষ্ঠানকে পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের দায়ে ১৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদফতর। জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আদালতে মামলা করা হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়।
বুধবার (৩০ জানুয়ারি) বিভাগীয় পরিবেশ অধিদফতরের একাধিক টিম পৃথকভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও কুমিল্লা জেলায় একযোগে অভিযান চালায়।
অভিযানে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে খাজা শিপব্রেকিং ইয়ার্ড নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদফতর, চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারি পরিচালক মুক্তাদির হাসান সারাবাংলাকে বলেন, ‘শিপব্রেকিং ইয়ার্ডটিতে জাহাজ কাটার অনুমতি আছে। কিন্তু তারা সেখানে জাহাজ নির্মাণও করছে। এই বিষয়ে তাদের কোনো অনুমতি নেই। পরিবেশের ছাড়পত্রও নেই। সেজন্য জরিমানা করা হয়েছে।’
কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে পাহাড় কেটে বসতি গড়ে তোলায় কিংসুক বহুমুখী সমবায় সমিতি নামে একটি সংগঠনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একইসঙ্গে কেটে ফেলা পাহাড়কে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইটভাটার মধ্যে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের এইচ কে আলী ব্রিক্সকে ৩০ হাজার টাকা এবং মেসার্স আলী নূর ব্রিক্সকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় মেসার্স চৌধুরী ব্রিক্সকে দেড় লাখ টাকা এবং সন্দ্বীপ উপজেলা ‘বিবিএস ব্রিক্সকে’ এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় ৬টি ইটভাটাকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- শাহজাহান ব্রিক্স, সিরাজ ব্রিক্স, সৌদিয়া ব্রিক্স, সোনালী ব্রিক্স, শেরে বাংলা ব্রিক্স ও শাহজালাল ব্রিক্স।
একই উপজেলায় আরও তিনটিকে ৫০ হাজার করে এবং একটিকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে যথাক্রমে- মোহাম্মদীয় ব্রিক্স, চৌধুরী ব্রিক্স ও এস এস ব্রিক্স এবং গ্রীণ ব্রিক্স।
মুক্তাদির হাসান সারাবাংলাকে বলেন, ‘১৪টি ইটভাটার মধ্যে অধিকাংশেরই পরিবেশ ছাড়পত্র নেই। কয়েকটি গড়ে তোলা হয়েছে বসতিপূর্ণ এলাকা ও স্কুল-কলেজের পাশে। এসব ইটভাটাকে জরিমানা করা হয়েছে এবং তাদের বর্তমান স্থান থেকে সরে যাবার জন্য তিনমাসের সময় দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় সেগুলো উচ্ছেদ করা হবে।’
সারাবাংলা/আরডি/এমও