১৪ দল আছে এবং থাকবে: নাসিম
৩১ জানুয়ারি ২০১৯ ১৫:৫৪
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট নিয়ে কোনো বির্তক না করার আহ্বান জানিয়েছেন জোটের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, ‘১৪ দল আছে এবং থাকবে। ভাঙার কোনো কারণ নেই।’ বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগ আয়োজিত ৯৭তম ঐতিহাসিক সলঙ্গা দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘১৪ দল কেন থাকবে না? সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছেনন বঙ্গবন্ধু, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দল কাজ করছে। ভবিষ্যতেও কাজ করবে।’
১৪ দলের নেতৃত্বে একাদশ নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পরাজিত করা সম্ভব হয়েছে মন্তব্য করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘১৪ দল ক্ষমতার লোভে সৃষ্টি হয়নি। এই দল শেখ হাসিনার আদর্শ বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে সৃষ্টি হয়েছে। সাম্প্রদায়িক শক্তি এখনো নিঃশেষ হয়নি, তারা চুপ করে আছে। যেকোনো মুহূর্তে মাথা উঠে দাঁড়াবে। তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আবারও দরকার হলে মাঠে নামব।’
নাসিম আরও বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে সংসদে যে ধরনের বিরোধী দল থাকার দরকার ছিল, সে দল নেই। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ১৪দল রয়েছে।’
উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে নাসিম বলেন, ‘সামনে উপজেলা নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে যার যার দল থেকে প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নেবেন। নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু হবে বলে আশা করি। নির্বাচন কমিশনকে আমরা অনুরোধ করব, যেন উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হয়। সেজন্য ১৪ দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হবে।’
অনুষ্ঠানে জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘শুক্রবারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে চা-চক্রে বসবে ১৪ দল। সেখানে ঢাকায় যেন মাওলানা তর্কবাগীশ স্মৃতিচিহ্ন করা হয়, সেজন্য প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানাবে ১৪ দল।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইতিহাসে যারা ভুল করেছে, তারা এখনো ভুলস্বীকার করেনি, মাফও চায়নি। যেমন, ৭১, ৭৫, ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পেছনে বিএনপি-জামায়াত জড়িত রয়েছে। অথচ তারা এখন পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ভুলস্বীকার করেনি, জনগণের কাছে মাফ চায়নি।
গণআজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এসকে সিকদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী কমরেড দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টি (জেপি) মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী শেখ শহীদুল ইসলাম, গণআজাদী লীগেরর প্রধান উপদেষ্টা সৈয়দ শামসুল আলম হাসু তর্কবাগীশ, মহাসচিব মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান প্রমুখ।
সারাবাংলা/এমএমএইচ/এমএনএইচ