ঢাকার কাছে অস্ত্র-সরঞ্জাম বিক্রি করতে চায় ওয়াশিংটন
৩১ জানুয়ারি ২০১৯ ১৯:৫৪
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: ঢাকার কাছে অস্ত্র-সরঞ্জাম বিক্রির আগ্রহ দেখিয়েছে ওয়াশিংটন। ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেনের কাছে এই আগ্রহ ব্যক্ত করলে মন্ত্রী ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করে বলেন, ‘এই বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর ড. এ. কে. আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৃহস্পতিবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রথমবারের মতো সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার।
বৈঠক শেষে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘দুই দেশের সম্পর্ক কীভাবে আরও শক্তিশালী করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করেছি। বিশেষ করে, সুশাসন, গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক সহযোগিতা, অস্ত্র-সরঞ্জাম (মিলিটারি পারচেজ) কেনা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছি।’
বৈঠক প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমাদের মধ্যে ইতিবাচক আলোচন হয়েছে। সুশাসন, গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক সহযোগিতা, অস্ত্র-সরঞ্জাম কেনা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছি।’
অস্ত্র-সরঞ্জাম (মিলিটারি পারচেজ) কেনা নিয়ে কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র চায় যে আমরা তাদের থেকেও অস্ত্র-সরঞ্জাম কিনি। আমি বলেছি যে ঠিক আছে, এই বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের জন্য তাদেরকে বলেছি যে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে। যুক্তরাষ্ট্র চাইলে এই খাতে বিনিয়োগ করতে পারে।’
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ মূলত চীন থেকে বড় আকারের অস্ত্র সংগ্রহ করে থাকে। রাশিয়া থেকে ১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র-সরঞ্জাম কেনার জন্য বিগত ২০১৩ সালে ঢাকা-মস্কো চুক্তি করেছে। এ ছাড়াও বাংলাদেশ ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্যসহ একাধিক দেশ থেকে অস্ত্র কিনে থাকে।
সূত্রগুলো জানাচ্ছে, বাংলাদেশের অস্ত্র-সরঞ্জাম সংগ্রহের বাজার দখল করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের অংশ হিসেবে ঢাকাকে বড় ধরণের আর্থিক ঋণ এবং সহায়তা দিকে পারে ওয়াশিংটন। যার বিপরীতে বাংলাদেশের কাছে অস্ত্র বিক্রি করতে চাইবে যুক্তরাষ্ট্র।
সারাবাংলা/জেআইএল/এনএইচ