‘ধর্মগুলোর পারস্পরিক সংলাপ হতে পারে ধর্মীয় শান্তির মাধ্যম’
১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২১:১৪
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: প্রতিটি ধর্মেই বলা হয়েছে পরমত সহিষ্ণুতা, ক্ষমা, সংযোম ও অহিংসার কথা। তারপরেও ধর্মের নামে মানুষ লিপ্ত হয় হানাহানি, বাড়ে সমাজে অশান্তি। এই হানাহানি বন্ধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠার একটা পথ হতে পারে ধর্মগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সংলাপ।
শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদালয়ের সেন্টার ফর অ্যাডভান্স রিসার্চ ইন হিউমিনিটিসে কিং আবদুল আজিজ ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টাররিলিজিয়াস অ্যান্ড ইন্টারকালচারাল ডায়লগ (কেএএআইসিআইআইডি), ইন্টারন্যাশনাল আসোসিয়েশন ফর রিলেজিয়াস ফ্রিডম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্টার রিলিজিয়াস অ্যান্ড কালচারাল ডায়লগের উদ্যোগে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী কর্মশালায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও বাহাই ধর্মের প্রায় ২৫ জন নারীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এবারের অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ধর্মীয় শান্তি অর্জনে নারীদের সম্পৃক্ত করা। জাতিসংঘ ঘোষিত ওয়ার্ল্ড ইন্টার ফেইথ হারমোনি উইক ২০১৯ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে বক্তারা তুলে ধরেন কিভাবে বিভিন্ন ধর্মের নারীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে বিশ্ব শান্তির পথ খুঁজে বের করতে পারেন।
বক্তারা শিখ ধর্মের উদাহরণ টেনে বলেন, যদি একে অপরের ধর্মকে সম্মান করে এবং অন্যকে তার ধর্ম পালনে বাধ্য না করে তাহলে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। ধর্মের সহিষ্ণুতা অর্জনে তথ্য গ্রহণ এবং সেই তথ্য থেকে ধারণা তৈরির বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন বক্তারা। তারা আরও বলেন, সংলাপ সমস্যা সমাধানের একটি বুদ্ধিদীপ্ত উপায়, অপরদিকে সহিংসতা মানসিক অপরিকপক্কতার লক্ষণ। তারা অন্ধ বিশ্বাসী না হয়ে তথ্য নির্ভর হয়ে সেই তথ্য বিশ্লেষণের তাগিদ দেন।
কর্মশালাটির বিভিন্ন অংশে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আবু তাহের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্টার রিলিজিয়াস অ্যান্ড কালচারাল ডায়লগের পরিচালক ড. ফারজিন হুদা, শিক্ষক ড. কাজী নজরুল ইসলাম, দর্শণ বিভাগের শিক্ষক রওশন আরা ফিরোজ, মানবাধিকার অ্যাকটিভিস্ট রহিম সরোয়ারসহ অনেকেই।
উইমেনস গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ ফর পিসবিল্ডিং এর কো অর্ডিনেটর জান্নাতুল মাওয়া আইনান ভিডিও কলের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুক্ত হন এ অনুষ্ঠানে। তিনি বলেন, সংলাপের মাধ্যমে ধর্মীয় শান্তিতে নারীদের যুক্ত করার কারণ, ধর্ম নানানভাবে নারীদের জীবন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। নারীরাই পারে নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের জীবনে এবং সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে।
সারাবাংলা/এমএ/এসআই