সিরাজগঞ্জে বোরো আবাদে ব্যস্ত কৃষকরা
২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৯:০০
।। রানা আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের কৃষকরা বোরো ধান আবাদ ও রোপণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন চলছে বোরো আবাদের ধুম। ভোরের আলো ফোটার আগেই কোমর বেধে ফসলের মাঠে নেমে পড়ছেন কৃষকরা। কুয়াশায় ঢাকা শীতের সকালে বীজতলায় ধানের চারা পরিচর্যার পাশাপাশি জমি চাষের কাজ চলছে পুরোদমে সন্ধ্যা পর্যন্ত। চাষিরা উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশি ধানের চেয়ে প্রাধান্য দিচ্ছেন হাইব্রিড ও উচ্চ ফলনশীল বীজকে।
সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, এবার জেলার ৯টি উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ১ লাখ ৩৭ হাজার ২’শ ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৬৫ভাগ হাজার হেক্টর বোরো চারা রোপন সম্পন্ন হয়েছে।
রায়গঞ্জ উপজেলার ব্রম্মগাছা ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের চাষী আব্দুল খালেক, আব্দুল মমিন, আকবার আলী, পলান সেখসহ আরও অনেকেই জানান, কৃষকরা চারা রোপণে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ উপজেলায় মাত্রাতিরিক্ত ইটভাটা থাকার ফলে যেমনটা কমেছে ফসলি জমির পরিমাণ ঠিক সেই পরিমাপে শ্রমিক সংকট থাকায় জমি চাষাবাদে বেগ পেতে হচ্ছে। এবারের বোরো মৌসুমে বিদেশি ধান বেশি রোপণ করা হচ্ছে। প্রকৃতি সহায় হলে গত বছরের মতো এ বছরও ফসল ভালো হবে বলে আশাবাদী তারা।
তবে গত বোরো মৌসুমে বাম্পার ফলন হওয়ায় এখানকার কৃষকরা আবারও বোরো আবাদে মাঠে কোমর বেধে নেমেছেন।
উপজেলার বিভিন্ন মৌজায় পানি ও সেচ সমস্যার কথা জানিয়ে অনেকে বলেন, বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহন করেছে। অন্যান্য সময়ের মতো এবারও এখানকার পানি সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসলে এবারও বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে তারা মনে করেন।
সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক (ডিডি) হাবিবুল হক জানান, কৃষকরা গত বছর ফসলের ভাল ফলন ও দাম পেয়েছেন। তাই চলতি মৌসুমে অনেকটা আগে ভাগেই বোরো চাষে পুরো প্রস্ততি নিয়ে মাঠে নেমেছেন। ইতোমধ্যে লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৫০ শতাংশ জমিতে ধানের চারা রোপন শেষ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ বছর বোরো আবাদে ও নতুন জাত সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কয়েক হাজার কৃষককে প্রণোদনা সুবিধার আওতায় এনে বিনামূল্যে বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও আমাদের বিভাগীয় প্রদর্শনীর আওতায় কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ ও সারসহ অনান্য উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। কৃষকরা যাতে নিরাপদে ধান কেটে ঘরে তুলতে পারে সেজন্য পানি সেচসহ সবগুলো দফতরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। এবারও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সারাবাংলা/এমএইচ