উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দাতাদের সহযোগিতা দরকার: প্রধানমন্ত্রী
১৭ জানুয়ারি ২০১৮ ১৩:১৪
সারাবাংলা ডেস্ক
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ যেন মধ্যম আয়ের দেশ হতে পারে তাই ২০২১ রূপকল্প বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে তার সরকার। এ জন্য উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম ২০১৮ এর উদ্বোধনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। দাতা সংস্থাগুলোর সঙ্গে দুদিনের বৈঠক শুরু হয়েছে হোটেল সোনারগাঁওয়ে।
ত্রিদেশীয় সিরিজ লাইভ দেখুন এখানে
বাংলাদেশের উন্নয়ণের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯১ সালে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ৫৬.৭ শতাংশ। বর্তমানে তা কমে ২২.৪ শতাংশ এ নেমে এসেছে। অতি দারিদ্র্যের হার কমেছে ৭.৯ শতাংশ। ২০২১ সালে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে দারিদ্র্যের হার ১৪ শতাংশে কমিয়ে আনতে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
আন্তর্জাতিক অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ জিডিপির দিক থেকে বিশ্বের ২৮তম ও ক্রয় ক্ষমতার দিক থেকে ২৩তম দেশে পরিণত হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
দেশের অর্থনীতির নানা দিক তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ১৬১০ ডলারে বৃদ্ধি পেয়েছে, রেমিটেন্স ১৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, বিদ্যুৎ উৎপাদন ১৬ হাজার ৩ শ’ ৫০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী জানান, মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হচ্ছে দেশের মানুষ তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা পাচ্ছে, ১৩ কোটি সিম ব্যবহারকারী রয়েছে এবং ৮ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে। গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়ে ৭২ বছর হয়েছে।
এ ছাড়াও সর্বাধিক জেন্ডার বাজেট প্রণয়ন করে নারী ও শিশুর প্রতি বৈষম্য ও সহিংস্রতা কমিয়ে আনার চেষ্টার কথাও দাতাদের সামনে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ত্রিদেশীয় সিরিজ লাইভ দেখুন এখানে
এর আগে অর্থমন্ত্রী ইআরডিতে বিডিএফ বৈঠকে কৃষিখাতে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি কমানো; বিদেশি ও বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণে পরিবেশ সৃষ্টি; বৈষম্য দূর ও সবার জন্য স্বাস্থ্যসুবিধা নিশ্চিত করা; দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে মানসম্পন্ন শিক্ষা ও দক্ষতা বৃদ্ধি; নারীর ক্ষমতা বৃদ্ধি ও নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ; স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণে চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ; টেকসই উন্নয়নে নগর-সুবিধা উন্নয়ন এবং এসডিজির অর্থায়ন– এই ৮টি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছিলেন।
সারাবাংলা/এমএ/জেএএম