Saturday 05 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভাষাগত সংস্কৃতি সংরক্ষণে কাজ করছে বাংলাদেশ: মাসুদ বিন মোমেন


২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৬:৪৯ | আপডেট: ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৭:২৪
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

।। সারাবাংলা ডেস্ক ।।

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ সকল উপজাতীয় সংস্কৃতি, রীতি-নীতি, ঐতিহ্য ও ভাষার প্রসার ও সংরক্ষণে কাজ করছে বাংলাদেশ। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষাসমূহের আন্তর্জাতিক বর্ষের বৈশ্বিক উদযাপন উপলক্ষে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ আয়োজিত এক সভায় দেওয়া এক বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন।

দেশে শান্তি ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ’ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে মাসুদ বলেন, আমরা আমাদের নিজস্ব ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর স্বতন্ত্র পরিচয়, ভাষা, সংস্কৃতি, ভূমি ও সম্পদ সংরক্ষণে কাজ করছি। আমাদের সকল জাতীয় নীতি, কর্মসূচি ও উন্নয়ন পরিকল্পনায় তাদের অধিকার সংরক্ষণ করেছি যার স্বীকৃতি স্বরূপ ইউনেস্কো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রদান করেছে সম্মানজনক ‘কালচালার ডাইভারসিটি’ পুরস্কার”।

বিজ্ঞাপন

রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা পাহাড়ি জেলাগুলোয় তিনটিসহ মোট সাতটি বিশেষায়িত সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছি যা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ সকল উপজাতীয় সংস্কৃতি, রীতি-নীতি, ঐতিহ্য ও ভাষার প্রসার ও সংরক্ষণে কাজ করছে। আমাদের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট ভাষার সংরক্ষণ গবেষণা ও এ সংক্রান্ত মেধা-ভিত্তিক কাজ বাস্তবায়ন করে চলেছে। আমরা বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীদের নিজস্ব মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা নিয়েছি। ইতিমধ্যে পাঁচটি নৃগোষ্ঠীর নিজস্ব মাতৃভাষায় পাঠ্যপুস্তক প্রকাশিত হয়েছে। এসব অঞ্চলে প্রায় ১৩২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাতৃভাষায় শিক্ষা প্রদান করছে।

জাতিসংঘে নিযুক্ত স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, আমাদের মাতৃভাষা বাংলার অধিকার আদায়ের দাবীতে ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। মাতৃভাষার প্রতি বিশ্বব্যাপী মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার এবং ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র সংরক্ষণে বাংলাদেশের যে অটল প্রতিশ্রুতি রয়েছে তা উৎসারিত হয়েছে ভাষা শহীদদের মহান আত্মত্যাগ থেকেই। আর বাংলাদেশের উদ্যোগের কারণেই ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

তিনি বলেন, এটা আনন্দের বিষয় যে এবছর ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ ও ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষার আন্তর্জাতিক বর্ষ ২০১৯’ একইসঙ্গে উদযাপন করা হচ্ছে। উভয় উদযাপনই ভাষার সাথে সংশ্লিষ্ট। এই ভাষা ও সংস্কৃতি হচ্ছে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ বিষয়টিকে সমুন্নত রাখার নির্ণায়ক। আর এ বছরই বাংলাদেশ আনীত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশন গ্রহণের ২০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হবে। সবমিলিয়ে ভাষা, সংস্কৃতি ও শান্তির মেলবন্ধনে অর্জিত আমাদের ‘একতা’কেই আমরা যেন মহাসমারোহে উদযাপন করতে যাচ্ছি।

সকাল ১০টায় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনের সভাপতি মারিয়া ফার্নান্দা এসপিনোসা গার্সেজ এ সভার সূচনা করেন এবং উদ্বোধনী বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য প্রদান করেন বলিভিয়ার রাষ্ট্রপতি ইভো মোরালেস।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়াবলী সংক্রান্ত আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল লিউ জেনমিন, ইউনেস্কোর সংস্কৃতি বিষয়ক সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল আর্নেষ্টো অটোনি রামিরেজ এবং ‘স্থানীয় ভাষার আন্তর্জাতিক বর্ষ’ উদযাপনের স্টিয়ারিং কমিটির চারজন কো-চেয়ার।

সারাবাংলা/ আরএ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর