ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নীতিমালা জরুরি
৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:৩৫
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: দেশে বছরে প্রায় দেড় লাখ টন ই-বর্জ্য তৈরি হয়। এ বিপুল সংখ্যক ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সঠিক নীতিমালা ও সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন বক্তারা।
শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি ) টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত ‘ইলেকট্রনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা: বাংলাদেশের জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ তথ্য উঠে এসেছে।
আলোচনা সভায় বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিআইএ) জানায়, ২০১৮ সালে এক লাখ ৪২ হাজার টন ই-বর্জ্য তৈরি হয়েছিল। যার মধ্যে মোবাইল অপারেটরদের মাধ্যমে তৈরি হয় এক হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য।
অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমাদের ইলেকট্রনিক পণ্যের ব্যবহার বাড়বে, তাই এর ব্যবহার হ্রাসের কোনো সুযোগ নেই। কারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও বাড়ছে। সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ই-বর্জ্য বাড়তেই থাকবে। দেশ যত বেশি ডিজিটাল হবে তত বেশি ডিজিটাল সমস্যা তৈরি হবে।
এটিকে এখন একটি ব্যবসায় রুপ দিতে হবে। এখান থেকেও ব্যবসায়ীক পরিকল্পনা বের করতে হবে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, ‘সামাজিক দায়বদ্ধতার তহবিল যদি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজে খরচ করা যায় তাহলে সমাজের উপকার হবে।
দিন দিন শিশুদের প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণ হিসেবে ই-বর্জ্যকে দায়ি করে রবি’র সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘খেয়াল করলে দেখবেন অনেক শিশু প্রতিবন্ধী হচ্ছে। কিন্তু কেন হচ্ছে এর গভীরে যাওয়া হচ্ছে না। ই-বর্জের কারণে শিশুরা প্রতিবন্ধী হচ্ছে, যে মাত্রায় মেধাবী হওয়ার কথা তা হচ্ছে না।’
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. রওশন আক্তার বলেন, ‘ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজটি করতে গিয়ে দেখা যায়, এখানে কোনো ডেটাবেজ নেই। বর্জ্য সংগ্রহটাই বড় চ্যালেঞ্জ।’
সংগঠনটির সভাপতি মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলামের পরিচালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দে। এতে অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন ড. সুলতান মাহমুদ, আবুল কালাম আজাদ, এবি সিদ্দিক সেলিম, টিআরএনবি’র সাবেক সভাপতি শাহেদ সিদ্দিক, রাশেদ মেহেদী, মাসুদুজ্জামান রবিন।
সারাবাংলা/এজেডকে/পিএ
ই-বর্জ্য টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী ডাক নীতিমালা মোস্তাফা জব্বার