।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য শনিবার গণভবনে আয়োজিত প্রধানমন্ত্রীর চা-চক্রকে একটি ‘সামাজিক পাপ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আখ্যা দেন।
রিজভী বলেন, ‘গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর চা-চক্রে শেখ হাসিনার সদাহাস্য চেহারা ও সরকারের আনুকুল্য পাওয়া রাজনীতিবিদদের চেহারা দেখে মনে হয়েছে তারা আনন্দে মাতোয়ারা। মহাভোট ডাকাতির পর অনুশোচনাহীন সরকারের চা-চক্রের এই আনন্দ একটি সামাজিক পাপ।’
তিনি বলেন, ‘গোটা জাতির সাথে নির্লজ্জ মহাতামাশার নির্বাচনের পর উল্লসিত সরকারের চা-চক্রের আয়োজন বিবেকহীন আনন্দেরই সমতুল্য। জনগণের সাথে প্রতারণাকারী সরকারের জয়ল্লোসের চা-চক্রে দেশের গণতন্ত্রমনা, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণরত কোনো রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেনি। যারা জনগণের ভোট লুট করেছে তাদের সঙ্গে গণতন্ত্রপ্রেমী কোনো ব্যক্তি, দল, গোষ্ঠী কেউই সেই আনন্দের পাপে অংশগ্রহণ করেনি। এটাই জনগণের বিজয়।’
রিজভী বলেন, ‘মহাভোট ডাকাতির নির্বাচনের পর ভুয়া ভোটের সরকারের অনুগত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ডাকসু নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। দুর্দশাগ্রস্ত গণতন্ত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কতটুকু সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে পারবে- এ নিয়ে জনমনে সংশয় রয়েছে। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্ট্যান্ডার্ড’ বিচার করা হচ্ছে, জ্ঞানান্বেষণ বা সৃজনশীলতার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে নয়, বরং চা-সমুচা ও আলুর চপ এর মুল্যে।’
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর দেশে-দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বজনীন সংজ্ঞা যেখানে সত্যের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন। কিন্তু বাংলাদেশে বর্তমানে শিক্ষাব্রতীদেরকে চা-সিঙ্গারা-সমুচায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাহাত্ম্য শেখানো হচ্ছে।’
রিজভী আরও বলেন, ‘শেখার স্বাধীনতা, গবেষণার স্বাধীনতার মাধ্যমে সত্যের সন্ধান কখনোই নিশ্চিত হবে না, যদি সেখানে সহাবস্থান ও পরমতসহিষ্ণুতার স্থান না থাকে। মুক্তকণ্ঠে বিতর্কের স্বাধীনতা না থাকে। ক্যাম্পাসগুলো একদলীয় দুঃশাসনের প্রবল প্রতাপের অংশীদার বলেই এখন শিক্ষার উৎকর্ষতার চেয়ে চা-সিঙ্গারা-চপ-এর উৎকর্ষের বাণী শুনতে পাওয়া যায়।’
‘সুতরাং ডাকসু নির্বাচনে ছাত্র সংগঠনগুলোর সহাবস্থান নিশ্চিত না হলে ডাকসু নির্বাচন হবে মহাভোট ডাকাতির নির্বাচনের ধারাবাহিকতার আরেকটি সংযোজন’- বলেন রিজভী।
সারাবাংলা/এজেড/এমএইচ