পুরনো প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা, ২৬ শিক্ষককে অব্যাহতি
৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৬:০৭
।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট।।
মাদারীপুর: মাদারীপুরে এসএসসি পরীক্ষার বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষায় ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র ও ‘১০১৯’ সালের নৈর্ব্যক্তিক দিয়ে পরীক্ষা হওয়ায় কেন্দ্র সচিবসহ ২৬ শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) কালকিনি উপজেলার খাসেরহাট সৈয়দ আবুল হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে পুরনো প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে সড়কে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা। এবং ওই পরীক্ষার কেন্দ্রে সচিবসহ ২৬ জন শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
খাসেরহাট সৈয়দ আবুল হোসেন স্কুল এ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের তথ্যমতে, ২০১৯ সালের এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে মোট ৬০৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে প্রায় পরীক্ষার্থীকে ২০১৮ সালের পুরনো প্রশ্নপত্র ও ১০১৯ সালের নৈব্যক্তিক দেওয়া হয়।
পরীক্ষা চলাকালীন এ সমস্যার প্রতিবাদ করলেও পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে কোনো সমাধান করা হয়নি। পরে পরীক্ষা শেষে সকল শিক্ষার্থীরা একত্রে হয়ে কালকিনি-খাসেরহাট সড়ক অবরোধ-বিক্ষোভ করেন। প্রায় দুইঘণ্টা পরে জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলামের আশ্বাসে সড়কের অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব, পরীক্ষা কমিটি ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক এবং ওই কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন একাডেমির প্রধান শিক্ষক জি এম হেমায়েত সহ সকল শিক্ষককে অব্যাহতি দিয়ে সেখানে পরবর্তী পরীক্ষার জন্য নতুন শিক্ষক দেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে এই সমস্যার প্রতিবাদ করলেও পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে কোনো প্রকার সমাধান করা হয়নি। পরে পরীক্ষা শেষে সকল শিক্ষার্থীরা একত্রে হয়ে কালকিনি-খাসেরহাট সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে।
পরে প্রায় দুইঘণ্টা পরে জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলামের আশ্বাসে সড়কের অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পরীক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব, পরীক্ষা কমিটি ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। এ বিষয়ে সমাধানের জন্য ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যানের সাথে কথা হয়েছে। আশা করছি, সমস্যা সমাধান হবে।শিক্ষার্থীদের কোনো ক্ষতি হবে না। তাছাড়া ওই কেন্দ্র সচিবসহ কেন্দ্রের সকল শিক্ষককে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে নতুন শিক্ষক দেওয়া হয়েছে।’
সারাবাংলা/একে