ক্যানসার বিজয়ীদের নিয়ে ‘পেশেন্ট ফোরাম’
৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৯:৩৫
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: কৈশোরে পদার্পণ করা ইশতিয়াক আহমেদ এডি বলেন তার বেড়ে ওঠা জীবনে ক্যানসারের সঙ্গে সহাবস্থানের গল্প। চিকিৎসক ডা. সাজিদা বারীর ক্যানসার যুদ্ধে তার স্বামীর সহযোগী ভূমিকা এবং ভারতীয় নাগরিক মধ্যবয়সী লীলা রাওয়াতের ক্যানসার নিয়েই প্রতিদিনের বেঁচে থাকার জীবনজয়ী প্রেরণার কহিনী হরেক রকম অনুভূতির জন্ম দেয়। তাদের কারও চোখে কখনো পানি, কেউবা আবার কখনো এক প্রশান্তির হাসি হেসেছেন ক্যানসার থেকে বেঁচে ওঠার উজ্জীবনী শক্তিতে।
রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) ইউনাইটেড হসপিটালের ক্যানসার সারভাইভারদের নিয়ে গঠিত হওয়া পেশেন্ট ফোরামে বারবার এমন পরিবেশের জন্ম দিয়েছে। ‘আমি পারি ও আমি পারবো’ এই অঙ্গীকার নিয়ে অনুষ্ঠানে কেবল ক্যানসার রোগীরা নয়, এই প্রত্যয় ব্যক্ত করে অনুষ্ঠানে ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ডা. রশিদ উন নবী, ডা. সৌমেন বসু ও ডা. অসীম কুমার সেনগুপ্ত বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে প্রায় ত্রিশ জন ক্যানসার রোগীও উপস্থিত ছিলেন, যাদের বক্তব্যে তাদের মনোবল ও সাহসিকতার সঙ্গে রোগ মোকাবেলার গল্পে পারিবারিক ও সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় চিকিৎসকের ভূমিকার প্রয়োজনীতাও উঠে আসে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি স্থপতি, নগর পরিকল্পনাবিদ ও পরিবেশ আন্দোলন কর্মী জনাব মুবাশ্বার হোসেন অপরিকল্পিত নগরায়ন ও পরিবেশ দুষণের প্রতি উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, ‘পরিবেশ সুন্দর হলে ক্যানসার অনেকাংশে কমে যেত। তিনি ক্যানসার রোগীদের পাশে থেকে পরিবেশের উন্নয়নে সংগ্রাম চালিয়ে যাবার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।’
ইউনাইটেড হসপিটালের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ফাইজুর রহমান, ক্যানসার চিকিৎসায় এই হাসপাতালের সর্বাত্মক আন্তরিক প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন। এই দেশের ক্যানসার চিকিৎসায় ইউনাইটেড হসপিটাল সর্বপ্রথম পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে বলে তিনি একটি সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন চিফ অব কমিউনিকেশন অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ডা. শাগুফতা আনোয়ার। উল্লেখ্য, বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে ইউনাইটেড হসপিটাল সপ্তাহব্যাপী কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
সারাবাংলা/জেএ/এমআই