শান্তিনগর-মাওয়া ফ্লাইওভার ২০২২ সালের মধ্যে
৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৯:৪১
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: রাজধানীর শান্তিনগর থেকে মাওয়া রোড (ঝিলমিল) পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি জানান, ইতোমধ্যে সরকারি অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি প্রকল্পটি নীতিগত অনুমোদন লাভ করেছে। প্রকল্প বাস্তবায়নকাল ২০১৯ জানুয়ারি থেকে ২০২২ পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরকালে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের তারকা চিহ্নত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
গণপূর্তমন্ত্রী জানান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)-এর মাধ্যমে শান্তিনগর হতে মাওয়া রোড (ঝিলমিল) পর্যন্ত প্রস্তাবিত ফ্লাইওভারটি বর্তমান সরকারের পিপিপি পদ্ধতিতে নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এজন্য ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি সরকারি মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদন লাভ করেছে। এরপর ২০১৮ সালের ৬ জুন ৫৩৪ দশমিক ৭২ কোটি টাকার ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফিন্যান্সিং প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ৬টি প্রতিষ্ঠানের দাখিল করা আরএফও যাচাই-বাছাই করে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে শর্ট লিস্টেড করার সুপারিশ করা হয়েছে। শিগগিরই সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে আরএফপি জারি করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নকাল ২০১৯ জানুয়ারি থেকে ২০২২ পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ডা. রুস্তুমআলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে গণপূর্তমন্ত্রী জানান, রাজউক ঢাকা মহানগর ইমারত (নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা, ২০০৮ ও ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুযায়ী লে-আউট প্ল্যান অনুমোদন করে। ওই লে-আউট প্ল্যান অনুযায়ী ভবন নির্মিত হচ্ছে কি না, তা পর্যবেক্ষণ করে। তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত রাজউকের আওতাধীন ১ হাজার ৫২৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ২ লাখ ৪ হাজার ১০৬টি ভবন জরিপ করা হয়েছে। জরিপ অনুযায়ী আগে নির্মিত ১ লাখ ৯৫ হাজার ৩৭৬টি ভবনের মধ্যে ১ লাখ ৩১টি ৫৮৩টি ভবনের বিভিন্ন ধরনের ব্যত্যয় (কম-বেশি) পাওয়া গেছে। নির্মাণাধীন ৮ হাজার ৭৩০টি ভবনের মধ্যে ৩ হাজার ৩৪২টি ভবনের অনুমোদিত নকশায় ব্যত্যয় (কম-বেশি) পাওয়া গেছে।
মন্ত্রী আরও জানান, রাজউকে ঠিকানাসহ তালিকা সংরক্ষিত আছে। ওই তালিকা দীর্ঘ হওয়ায় তা সংলাপ আকারে সংযুক্ত করা হয়নি। তবে প্রয়োজনে সুনির্দিষ্ট চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে তালিকা সরবরাহ করা যেতে পারে। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যে সব নির্মাণাধীন বাড়ির মালিক ইমরাত (নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা ২০০৮ না মেনে বিল্ডিং নির্মাণ করছেন, তাদের সংশোধনের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সংশোধন না করলে পর্যায়ক্রমে নোটিশ দিয়ে কমবেশি অংশ সরানো হয়।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমএনএইচ