কর্ণফুলী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু
৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৩:০৯
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে কর্ণফুলী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। সোমবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসনের নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান মুক্ত ও তৌহিদুর রহমানের নেতৃত্বে এই উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়।
আদালতের নির্দেশ পাওয়ার দুই বছর পর কর্ণফুলীর দুই পারে অবস্থিত ২ হাজার ৫০০ সরকারি-বেসরকারি অবৈধ স্থাপনার এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। সোমবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে এই অভিযান শুরু হয়। চলবে সারাদিন।
আরও পড়ুন- কর্ণফুলী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে নামছে জেলা প্রশাসন
নগরীর লাইটারের জেটি ঘাট থেকে শুরু হওয়া এই উচ্ছেদ অভিযান নগরীর বারেক বিল্ডিং পর্যন্ত চলবে। প্রথম ধাপে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারলে মোট ১০ একর জায়গা উদ্ধার করা হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
সবমিলিয়ে ২০০’র মতো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে রয়েছে বিআইডব্লিউটিসিসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার স্থাপনা। উচ্ছেদে কাজ করছে ১০০ শ্রমিক। সদরঘাট সাম্পানচালক আয় সমিতির স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে অভিযানের শুরু হয়।
উচ্ছেদ অভিযানে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আরও কাজ করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, সিডিএ, ফায়ার সার্ভিস সাভির্স ও কণর্ফুলী গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন- কর্ণফুলী দখলমুক্ত করতে অনড় ভূমিমন্ত্রী, শুনবেন না কোনো অনুরোধ
তাহমিলুর রহমান মুক্ত বলেন, আজ থেকে আমরা উচ্ছেদের কার্যক্রম শুরু করেছি। এই কার্যক্রম চলবে। কেউ কোনরকম চাপ দিচ্ছে না। সবার সার্বিক সহযোগিতায় কাজ চলছে। সরকারও সাহায্য করছে। ভূমি মন্ত্রণালয় অভিযানের জন্য প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে।
আরও পড়ুন- কর্ণফুলী নদী রক্ষায় ব্যর্থতা: মেয়রসহ ৮ জনকে আইনী নোটিশ
উল্লেখ্য, হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৫ সালের জরিপে কর্ণফুলী নদীর দুই পাড়ে ২১৮১টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। গত তিন বছরে স্থাপনা আরও বেড়েছে বলে ধারণা উচ্ছেদের দায়িত্ব পাওয়া চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমানের।
সারাবাংলা/আরডি/আরএ