ডিএনসিসি নির্বাচন বানচাল পূর্বপরিকল্পিত নীলনকশা : বিএনপি
১৭ জানুয়ারি ২০১৮ ১৪:৫৯
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনিসিসি) নির্বাচন ‘বানচাল’ সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পূর্বপরিকল্পিত নীল নকশা বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
এর আগে ডিএনসিসি মেয়রের শূন্যপদে উপ-নির্বাচন ও সম্প্রসারিত অংশের কাউন্সিলর পদে নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট।
আদালতের আদেশের ২ ঘণ্টা পর দলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় রিজভী বলেন, ‘ডিএনসিসিসহ ঢাকা সিটিতে যদি সুষ্ঠু ভোট হয়, তাহলে ক্ষমতাসীনদের ভরাডুবি হবে— এটা সরকারি দল নিশ্চিত জানে। সুতরাং আমরা বলতে চাই, ডিএনসিসি নির্বাচন বানচাল করা পূর্বপরিকল্পিত নীলনকশা। এটি সরকার ও নির্বাচন কমিশনের যৌথ প্রযোজনা।’
তিনি বলেন, ‘এছাড়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনও এ বছর হওয়ার কথা। তাই ঢাকা সিটিতে বিপুল ভোটে পরাজিত হলে আওয়ামী লীগের জাতকুল কিছুই থাকবে না। তাই সরকারের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন আইনি ত্রুটি রেখে এ তফসিল ঘোষণা করেছে।’
নির্বাচন কমিশনের ত্রুটিপূর্ণ তফসিলের কারণেই সংক্ষুব্ধরা রিট করার সুযোগ পেয়েছেন উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘গত ৯ জানুয়ারির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। প্রার্থীরাই জানেন না, তিনি ভোটার কিনা।’
‘‘তাছাড়া মনোনয়নপত্রে ৩০০ ভোটারের স্বাক্ষর থাকতে হবে। ভোটার তালিকা প্রকাশ না হলে এটা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯-এর ৫ (৩) উপধারা অনুযায়ী ‘মেয়রের পদসহ করপোরেশনের শতকরা ৭৫ ভাগ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইলে এবং নির্বাচিত কাউন্সিলরদের নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হইলে, কর্পোরেশন, এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, যথাযথভাবে গঠিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।’ এ আইন মতে, উত্তর সিটি করপোরেশনে নতুন যুক্ত হওয়া ১৮টি ওয়ার্ড মিলে কাউন্সিলর শতকরা ৭৫ ভাগ হয় না’’— বলেন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘নতুন ১৮টিতে তো নির্বাচনই হয়নি। তাছাড়া, সম্প্রসারিত ১৮টি ওয়ার্ডে যারা কাউন্সিলর হবেন
তারা কত দিনের জন্য নির্বাচিত হবেন? তারা কি পাঁচ বছরের জন্য হবেন, না আড়াই বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন— তা নির্ধারণ করেনি কমিশন। এ সকল ত্রুটির কারণেই রিট করার সুযোগ পেয়েছেন সংক্ষুব্ধরা।’
রিটকারীদের একজন ভাটারা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তিনি সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ‘নীল নকশা’র সঙ্গে যুক্ত হলেন কীভাবে?— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ত্রুটিপূর্ণ তফসিলের কারণে যে কেউ সংক্ষুব্ধ হতে পারেন এবং রিট করতে পারেন। ত্রুটিপূর্ণ গাড়িতে তো কেউ যাত্রী হতে চাইবেন না।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন জীবন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল মালেক, মুনির হোসেন প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/এমএ