বন্ডেড পণ্য চোরাইপথে খোলাবাজারে বিক্রি, ৭টি কাভার্ড ভ্যান জব্দ
৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৩:৫৩
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: বন্ড সুবিধার অপব্যবহার ও বন্ডেড পণ্য চোরাইপথে খোলাবাজারে বিক্রয়ের অভিযোগে বিপুল পরিমান পণ্যসহ ৭টি কাভার্ড ভ্যান জব্দ করেছে ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট।
সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের সহকারী কমিশনার মো. আল আমিন।
তিনি সারাবাংলাকে জানান, গতকাল মধ্যরাতে রাজধানীর জিরো পয়েন্ট, ইসলামপুর, বিরুলিয়া, গুলিস্তানসংলগ্ন বিভিন্ন পয়েন্টে রাতভর অভিযান চালিয়ে গাড়িগুলো জব্দ করা হয়। কমিশনারের নিকটে আসা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যুগ্ম কমিশনারের তত্ত্বাবধানে দুটি পৃথক প্রিভেন্টিভ টিম রাত ১১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করে।
আল আমিন আরও জানান, উপ-কমিশনার রেজভী আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত দল জিরো পয়েন্ট ও ইসলামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪টি গাড়ি আটক করে, যাদের নম্বর যথাক্রমে ঢাকা মেট্রো ট-১৫০৫৯৪, ঢাকা মেট্রো ট-১১৫০১১, ঢাকা মেট্রো ট-১১৩৭৫৪, এবং ঢাকা মেট্রো ট-১৩১৩৬৪। আটক পণ্য বিভিন্ন প্রকার ফেব্রিকস এবং এসিটিক এসিড। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ হচ্ছে যথাক্রমে গোল্ডটেক্স গার্মেন্টস, খান এন্টারপ্রাইজ, নীপা গার্মেন্টস এবং নোমান গ্রুপ।
অপরদিকে সহকারী কমিশনার মো. আল আমিনের নেতৃত্বে গঠিত দলটি বিরুলিয়া বেড়িবাঁধ ও গুলিস্তান এলাকায় ধাওয়া করে ৩টি কাভার্ড ভ্যান জব্দ করে। যাদের নম্বর যথাক্রমে ঢাকা মেট্রো ট-১৫২১৪২, ঢাকা মেট্রো ট-১১১৫৯৭ এবং ঢাকা মেট্রো ট-১১৪৯৪৮।
আটক পণ্যগুলো হচ্ছে- পিপি দানা ও ডেনিম ফেব্রিকস। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে ফারদিন এক্সেসরিজ লিমিটেড, উত্তরা ইপিজেড, নীলফামারী এবং নাইস ডেনিম লিমিটেড, মাওনা, শ্রীপুর, গাজীপুর। এসব পণ্যের সর্বমোট মূল্য প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা, যার বিপরীতে আদায়যোগ্য শুল্ক-করের পরিমান প্রায় ২ কোটি টাকা। এ বিষয়ে কাস্টমস আইনে বিভাগীয় মামলা দায়েরসহ আইনগত কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়া অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর বন্ডিং কার্যক্রম ও আমদানি রপ্তানির তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একইসঙ্গে বন্ড সুবিধার অপব্যবহার ও শুল্ক-করা ফাঁকি প্রতিরোধে এনবিআরের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির আওতায় এবং কমিশনারের গতিশীল নেতৃত্বে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
সারাবাংলা/এসজে/এমও