Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাবিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ককে মারধর


৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৮:০৭

।। ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাবি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সহাবস্থানের দাবিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতারা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিতে গেলে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে তার ওপর হামলা হয়।

হাসান আল মামুন মারধরের ঘটনার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছেন। তবে ছাত্রলীগ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

সাংবাদিকদের হাসান আল মামুন জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার চত্বরে চা খেয়ে গ্রন্থাগারে প্রবেশ করছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের স্নাতকোত্তর শ্রেণির ছাত্র রাইসুল ইসলামের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন নেতা-কর্মী তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। ডাকসু নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণের খবরে ভয় পেয়ে ছাত্রলীগ এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন মামুন।

এ বিষয়ে সারাবাংলার পক্ষ থেকে রাইসুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানিও না। তাকে আমি বলেছি, আমি ছিলাম না। তারপরও সে কয়েকজন সাংবাদিক দিয়ে আমাকে ফোন করিয়েছে। সে (মামুন) যখন আমাকে কল দেয় তখন আমি হলে।’

মারধরের ঘটনার পর বেলা একটার দিকে প্রক্টর কার্যালয়ে গিয়ে প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানীর কাছে ঘটনার বিচার দাবি করেন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক, রাশেদ খান ও সোহরাব হোসেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফন্ট ও ছাত্র ফেডারেশনের নেতারা। ঘণ্টাখানেক প্রক্টরের সঙ্গে তাদের বাগ্‌বিতণ্ডা চলে। প্রক্টর তাদেরকে হাসান আল মামুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী না (পড়ালেখা শেষ করছে)। তারপরও সে কেন ক্যাম্পাসে আসছে এসব জিজ্ঞাসা করেন। তবে লিখিত অভিযোগ দিলে তিনি সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান।

বিজ্ঞাপন

পরে হাসান আল মামুন প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী সারাবাংলাকে বলেন, ‘একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি দেখছি।’

মারধরের এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিৎ চন্দ্র দাস বলেন, যে সময়ে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে, রাইসুল তখন আমার সঙ্গে মধুর ক্যান্টিনে ছিল। এর সঙ্গে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নন।

সারাবাংলা/কেকে/একে

কোটা আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর