Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পুলিশের দাবি-দাওয়া শুনলেন প্রধানমন্ত্রী, পূরণের আশ্বাস


৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২৩:২৮

।। উজ্জল জিসান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: পুলিশ সপ্তাহের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের দাবি-দাওয়া মনযোগ দিয়ে শুনলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসব দাবি পূরণে ইতিবাচক আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।

সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়ামে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় পুলিশ কর্মকর্তারা সরকারপ্রধানের কাছে এসব দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন। বাংলাদেশ পুলিশের বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

পুলিশ সপ্তাহের কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করছেন প্রধানমন্ত্রী

একজন পুলিশ সুপার সারাবাংলাকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে যে কয়েকটি দাবি তোলা হয়েছে, তা একেবারই যৌক্তিক। প্রধানমন্ত্রী দাবিগুলো মনযোগ দিয়ে শুনেছেন এবং তা পূরণে আশ্বাস দিয়েছেন। এর মধ্যে কিছু আছে চলমান প্রক্রিয়া।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, চলমান প্রক্রিয়াগুলো অব্যাহত থাকবে। আর কিছু দাবি আছে, যেগুলোর বিষয়ে নতুন উদ্যোগ নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী অনেকটা খুশি মনেই এসব দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন।

দাবিগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির একজন উপকমিশনার বলেন, পুলিশের জন্য আলাদা মেডিকেল কলেজের বিষয়টি জোরালো ভূমিকা পেয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পুলিশের আলাদা একটি মেডিকেল কলেজ করা হবে। এটি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। পুলিশের জন্য স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন করতে হবে। এজন্য ঢাকার পাশাপাশি বিভাগীয় পর্যায়ে কিভাবে চিকিৎসা সেবাটা পুলিশ ও পুলিশ পরিবারের সদস্যরা হাতের নাগালে সাশ্রয়ীভাবে পেতে পারেন, সে চিন্তাও করা হয়েছে। প্রথম অবস্থায় বিভাগীয় পর্যায়ে অন্তত একটি করে হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনে বিভাগীয় পর্যায়েও পুলিশ মেডিকেল কলেজের শাখা খোলা হবে। এ ব্যাপারে সরকার চিন্তা করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আশা করি, আমাদের এ দাবি শিগগিরই পূরণ হবে।

বিজ্ঞাপন

পদকপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের ব্যাজ পরিয়ে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

অন্যান্য দাবির ব্যাপারে পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, যানবাহন, রেশন, ঝুঁকি ভাতা, আবাসন, নিজস্ব থানা ভবন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব দাবি শুনেছেন এবং পর্যায়ক্রমে তা পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। এরই মধ্যে বসুন্ধরায় বিশাল এলাকাজুড়ে এসআই থেকে শুরু করে ঊর্ধ্বতন পুলিশ সদস্যদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা গড়ে উঠছে। আরও আবাসনের ব্যবস্থা করার জন্য কাজ করা হচ্ছে। থানার নিজস্ব ভবন নির্মাণকাজ এগিয়ে যাচ্ছে। জনসংখ্যার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেবা বাড়াতে নতুন নতুন থানা উদ্বোধন করা হচ্ছে।

ডিআইজি পদমর্যাদার একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের আগে ও পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখে ভোটের মাধ্যমে সরকারের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে শুরুতেই প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ সদস্যদের ধন্যবাদ দেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন পুলিশের কাজ হচ্ছে নিরপত্তা সঠিকভাবে বজায় রেখে জনগণের সেবায় এগিয়ে আসা।

পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির স্টল পরিদর্শন প্রধানমন্ত্রীর

এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্যারেড গ্রাউন্ডে উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, জঙ্গি দমনে বাংলাদেশের পুলিশ এখন রোলমডেল। সন্ত্রাস দমন, জঙ্গি নির্মূল ও মাদক নিয়ন্ত্রণে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।

পুলিশের হাতে যেন কোনো নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার না হন, সেদিকে খেয়াল রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। পুলিশের প্রত্যেক সদস্যের ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে পালনের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করে আপনারা জনবান্ধব পুলিশে পরিণত হবেন— এটাই আমার প্রত্যাশা।’

বিজ্ঞাপন

পুলিশ সপ্তাহে এবারই প্রথম রেকর্ডসংখ্যক ৩৪৯ জনকে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে, ২০১৮ সালে ১৮০ জনকে বিপিএম ও পিপিএম পদক দেওয়া হয়। এছাড়া ৫০১ জন পুলিশ সদস্যকে আইজিপি ব্যাজ পদক হিসেবে দেওয়া হয়।

সারাবাংলা/ইউজে/টিআর

পুলিশ পুলিশ সপ্তাহ ২০১৯ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর