বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হচ্ছে চীনা নববর্ষ
৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৩:৩০
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হচ্ছে চীনের নববর্ষ। কিন্তু চীনের নববর্ষ হলেও এর উদযাপন হয় বিশ্বব্যাপী। খবর বিবিসি ও ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ডয়ের।
মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) শুরু হয়েছে নতুন চন্দ্রবর্ষ। তবে বিশ্বজুড়ে এটা চীনা নববর্ষ নামে পরিচিত।
চীনের প্রতিটি বছর একটি প্রাণীর নামে নামকরণ করা হয়। সব মিলিয়ে মোট ১২টি প্রাণীর নাম রাখা হয়। এই বছরের জন্য নির্ধারিত প্রাণী হচ্ছে শূকর। তাই এটাকে বলা হচ্ছে, শুকরের বছর। এছাড়া অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে রয়েছে বানর, ইঁদুর, ড্রাগন, সাপ, ঘোড়া, ভেড়া, মোরগ, ষাঁড়, কুকুর, ভাল্লুক, বাঘ, খরগোশ।
চন্দ্রবর্ষের প্রথম দিনটিকে চীনারা নববর্ষ হিসেবে পালন করে থাকে। নববর্ষ উদযাপন করতে আয়োজন করা হয় বিশাল উৎসবের। এটি বসন্ত উৎসব নামেও পরিচিত।
চাঁদের ঘূর্ণনের সঙ্গে মিলিয়ে হিসেব রাখার কারণে চীনা নববর্ষ একেকবার বছরের শুরু হয় একেক সময়। এইবার তা শুরু হয়েছে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে।
পুরো বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হলেও এশিয়াজুড়ে বসন্ত উৎসবের আমেজ ভিন্নমাত্রা ধারণ করেছে। আতসবাজির বিস্ফোরণে আলোকিত হয়ে ওঠেছে রাতের আকাশ। অলি-গলি সাজানো হয়েছে উজ্জ্বল রঙিন আলোয়।
এদিকে, শূকরের বছরকে স্বাগতম জানাতে ঐতিহ্যবাহী সিডনী অপেরা হাউজ ভরে ওঠেছে লাল আলোয়। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে নৃত্যশিল্পীদের দেখা গেছে চীনা ‘লিয়ং’ নাচ নাচতে। লন্ডনের চায়না টাউনেও আয়োজন করা হয়েছে জমজমাট উৎসবের।
এদিকে, নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে চীনের সবচেয়ে বড় বার্ষিক অভিবাসন শুরু হয়েছে। প্রতি বছরই লাখ লাখ মানুষ তাদের পরিবারের সাথে নতুন বছর উদযাপনের জন্য দূর-দূরান্ত থেকে চীনে পাড়ি জমায়। বছরের এই সময়টাতে চীনে এতো মানুষ ভ্রমণ করে যে এটা পৃথিবীর সবচাইতে বড় বার্ষিক অভিবাসন হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘদিন জমজমাট বসন্ত পালনের পর যে যার স্থানে ফিরে যান। একে বলা হয় চুনইয়ুন।
চীনে শূকরকে দেখা হয় আশা ও উদ্যমের প্রতীক হিসেবে। এছাড়া পরিশ্রমের প্রতীক হিসেবে পরিচিত শূকর।
চীন ছাড়া ভিয়েতনাম, জাকার্তা, ফিলিপাইন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ইউক্রেইন, তাইওয়ান, আলবেনিয়া সহবিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে চীনা নববর্ষ।
সারাবাংলা/ আরএ