Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

হাজিরা থেকে অব্যাহতি পেয়েও নিলেন না খালেদা জিয়া


১৭ জানুয়ারি ২০১৮ ১৬:৪৪

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আইনজীবীর আবেদনের পর এক দিনের জন্য হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলেও তা নেননি খালেদা জিয়া।

বুধবার খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ খালেদার পক্ষে তার মায়ের মৃত্যুবার্ষিকীর জন্য এক দিনের অব্যহতি চেয়ে আবেদন করেন। বিচারক জানান, বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত না হলেও আদালতের কার্যক্রম চলবে।

পরে, আইনজীবীরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলে আবেদনটি  প্রত্যাহার করে বলেন, যেহেতু খালেদা জিয়ার মামলাটি আইন দিয়ে মোকাবেলা করা হচ্ছে তাই বৃহস্পতিবারও তিনি আদালতে হাজির থাকবেন।

এদিকে বুধবার  খালেদা জিয়া হাজির হওয়ার পর আগে বেলা সোয়া এগারটায় আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর আসামি ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের পক্ষে দ্বিতীয় দিনের মতো তার আইনজীবী আহসান উল্লাহ যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন। বেলা তিনটায় শেষ হয় এ মামলার শুনানি।

এর আগে মঙ্গলবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়। গত ২০, ২১, ২৬, ২৭, ২৮ ডিসেম্বর এবং ৩, ৪, জানুয়ারি অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন তার আইনজীবীরা।

গত ১৯ ডিসেম্বর দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে খালেদা জিয়া ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রাক্তন সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, প্রাক্তন এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানের ৭ বছরের কারাদণ্ড দাবি করেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট এ দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে যে, এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়।

২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক।

এ মামলায় খালেদা জিয়া  ছাড়া অভিযুক্ত অন্য তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

অরফানেজ মামলায়  ছয় আসামী হলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া,বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

আসামিদের মধ্যে ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক। বাকিরা জামিনে আছেন।

সারাবাংলা/এআই/এমআই/জেডএফ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর