কর্ণফুলীর পাড়ের আরও ৩০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২১:২৭
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: দ্বিতীয় দিনের অভিযানে চট্টগ্রাম নগরীতে কর্ণফুলী নদীর পাড় থেকে ৩০টি ছোট-বড় পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে একটি উপখালের প্রবেশমুখ।
মঙ্গলবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে নগরীর মাঝিরঘাট এলাকায় কর্ণফুলী নদীর পাড়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান মুক্ত ও তৌহিদুল ইসলাম উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
তাহমিলুর রহমান মুক্ত সারাবাংলাকে জানান, অভিযানে ৩০টির মতো পাকা স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। উচ্ছেদ করা স্থাপনার মধ্যে সার, চাল, চিনি, লবনসহ বিভিন্ন পণ্যের গুদাম আছে। এছাড়া কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে পড়া একটি উপখালের প্রবেশমুখ উদ্ধার করা হয়েছে।
তাহমিলুর জানান, প্রবেশমুখ ২০ ফুটের মতো ছিল। কিন্তু অবৈধ দখলের কারণে সেটা সংকুচিত হয়ে নালায় পরিণত হয়েছিল। অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে প্রবেশমুখটা উদ্ধার করা হয়েছে। এখন প্রবেশমুখ বড় করা যাবে বলে তিনি জানান।
গত দুইদিনের অভিযানে চার একরেরও বেশি নদীপাড়ের জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এর আগে সোমবার প্রথমদিনের অভিযানে নদীর পাড় দখল করে গড়ে তোলা ৫০টির মতো অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। আরও ২০টি অবৈধ স্থাপনা দখলদাররা নিজেরাই সরিয়ে নেয়।
প্রথম ধাপে নগরীর সদরঘাট থেকে বারিক বিল্ডিং মোড় পর্যন্ত এলাকা দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই এলাকায় প্রায় ২০০ অবৈধ স্থাপনা আছে। সেগুলো উচ্ছেদ করতে পারলে ১০ একর ভূমি উদ্ধার হবে।
উচ্ছেদ অভিযানে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আরও কাজ করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, সিডিএ, ফায়ার সার্ভিস, কণর্ফুলী গ্যাস কর্তৃপক্ষ, বিআইডব্লিউটিএ, র্যাব-পুলিশ।
এছাড়া জেলা প্রশাসনের নিযুক্ত ১০০ জন শ্রমিক উচ্ছেদ অভিযানে কাজ করছে।
হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৫ সালের জরিপে কর্ণফুলী নদীর দুই পাড়ে ২১৮১টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। গত তিন বছরে স্থাপনা আরও বেড়েছে বলে ধারণা জেলা প্রশাসনের।
সারাবাংলা/আরডি/এনএইচ