Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের বিস্ময়: স্পিকার


৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২১:৩৮

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: জাতীয় সংসদের স্পিকার ড.শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে বঙ্গবন্ধুর কাঙ্ক্ষিত সোনার বাংলার ঠিকানায়। বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের বিস্ময়। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্ব, দক্ষতা আর প্রজ্ঞার ফলে অর্থনৈতিক সূচকে এগিয়েছে বাংলাদেশ। সরকারের সুষম আর্থ-সামাজিক নীতির ফলে জনগণের মাথাপিছু আয়, জিডিপি এবং রেমিট্যান্স ও রিজার্ভ বেড়েছে রেকর্ড পরিমাণে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ আয়োজিত সংবিধান বিষয়ক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন হয়। দীর্ঘ ২৩ বছরের লড়াই সংগ্রামের ফসল এই সংবিধান। অতি অল্প সময়ে মাঝে ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর জাতিকে এই সংবিধান উপহার দেন। সংবিধান হচ্ছেন জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন যেখানে মৌলিক নীতিসমূহ লিপিবদ্ধ থাকে যা দেশের জনগণের বিশ্বাস ও মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখে। উত্তরাধিকার কিংবা সমঝোতার সূত্রে নয় বরং লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সংবিধানকে সমুন্নত রাখতে হবে। বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সংবিধানগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের সংবিধান অন্যতম ও অনন্য।

জনগণের কল্যানের বিষয়টির নিশ্চিত করার কথা বলে স্পিকার বলেন, রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ- নির্বাহী বিভাগ, আইন সভা ও বিচার বিভাগ। এই তিনটি অঙ্গ সংবিধান অনুযায়ী জনগণের স্বার্থেই কার্যাবলি সম্পন্ন করে থাকে ।জনগণের কল্যাণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের কার্যাবলির মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে।

বিজ্ঞাপন

‘সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭ অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার মালিক জনগণ’ উল্লেখ করে স্পিকার বলেন,রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে জনগণের মৌলিক অধিকারগুলো সংরক্ষণ করে ও নিশ্চয়তা দেয় সংবিধান। বাংলাদেশের সংবিধানে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্ম নিরপেক্ষতা এবং জাতীয়বাদ—এ চারটি মূলনীতিকে সমুন্নত রাখা হয়েছে যার ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের গত দুই মেয়াদের কথা তুলে ধরে স্পিকার বলেন, দারিদ্র্যের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২২ শতাংশে কমিয়ে আনা হয়েছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে বর্তমান সরকার দৃড় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

এ সময় ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্সের অংশগ্রহণকারীরা সহ ফ্যাকাল্টি মেম্বার ও স্টাফ অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।

এই বছর ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ পরিচালিত এনডিসি ২০১৯ কোর্সে ১৫টি দেশের ২৯ জন বিদেশীসহ ৮৪ জন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল/যুগ্মসচিব পদমর্যাদার সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা অংশ নিচ্ছেন।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এসবি

সংবিধান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর