Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের অন্যরকম একটি দিন


৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১২:১৩

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: ব্যতিক্রমী একটি দিন কাটালেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের নেতাকর্মীরা। সব ভেদাভেদ ভুলে গল্প, আড্ডা, গান, র‌্যাফেল ড্রসহ বিভিন্ন আয়োজনে ভরা নৌভ্রমণে আনন্দঘন সময় কাটিয়েছেন তারা।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ছিলেন এই নৌভ্রমণের আয়োজক। মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত চলে এই আনন্দযজ্ঞ।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যে এক সুদৃড় নিবিড় সম্পর্ক তৈরি করতে এবং নতুন উদ্যোমে উজ্জীবিত করতে মঙ্গলবার নৌ ভ্রমনের আয়োজন করা হয়। ঢাকার সদরঘাট থেকে পূর্ব ঘোষিত সময় অনুযায়ী সকাল ১০টায় ছাড়ে লঞ্চ। সকালে লঞ্চঘাটে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি সম্রাট যখন পৌঁছান তখন শত শত ওয়ার্ড ও থানা নেতারা ফুলের তোরা দিয়ে টাকে বরণ করে নেন। যুবলীগ নেতা সম্রাট উপস্থিত নেতাদের নিজে যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করে নেন। এসময় সম্রাট সকলের উদ্দেশে বলেন, ‘আজকে কেউ নেতা, কেউ কর্মী নয়, আজ আমরা সবাই ভাই ভাই। আজ আমরা যে যার মতো আনন্দ করবো, সময় উপভোগ করবো। আমরা সবাই মাননীয় নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কর্মী।’

কোন শিল্পী নয় যুবলীগের নেতাকর্মীরাই সঙ্গীত পরিবেশ করে মাতিয়ে তোলেন নৌভ্রমণ। এতে যোগ দেন সম্রাটও।

আনন্দ ভ্রমনে অংশ নেয়া ওয়ার্ড পর্যায়ের একাধিক নেতা জানান, আজকের দিনটি তাদের জন্য ব্যতিক্রমী ও চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

এদিকে ভ্রমনে  ভিন্নমাত্রা যোগ করতে  চরের মাঝে আয়োজন করা হয় কুস্তি খেলা। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সভাপতি মোরসালিন আহমেদ ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য জোবায়দুল হক রাসেল কুস্তি খেলায় অংশ নেন। খেলায় মোরসালিন আহমেদ বিজয়ী হন।

বিজ্ঞাপন

এছাড়াও নৌভ্রমণে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের ভাগ্য পরীক্ষা করতে আয়োজন করা হয় র‌্যাফেল ড্র। র‌্যাফেল ড্রতে প্রথম হন ওয়ার্ড যুবলীগের এককর্মী। প্রথম পুরস্কার হিসেবে পান ৫২ ইঞ্চি এলইডি টেলিভশন।

আয়োজন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা সবাই রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনার কর্মী। আমাকে একটি সময়ের জন্য গণতন্ত্রের মানসকন্যা রাষ্ট্র নায়ক আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। তাই আমি নিজেকে কখনো নেতা ভাবিনা। কারণ কর্মীর মাঝেই নেতা বেচে থাকেন। আমিও যেমন কর্মী, আমার ওয়ার্ডের একজন সদস্যও সমান কর্মী। সবাইকে এক সঙ্গে দেখা হয় না। তাই ব্যতিক্রমী এই আনন্দ ভ্রমনের আয়োজন করা হয়। আমি যথাযথ চেষ্টা করছি, নেতাকমীরা যাতে প্রাণখুলে আনন্দ করতে পারে। যেখানে কোন একদিনের জন্য কোন ভেদাভেদ থাকবে না।’

সারাবাংলা/এনআর/এসএমএন

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ

বিজ্ঞাপন

মাদকের টাকার জন্য মা'কে খুন
২৩ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৫৭

আরো

সম্পর্কিত খবর