অনিয়ম দূর করতে প্রতিটি ব্যাংকে স্পেশাল অডিট হবে: অর্থমন্ত্রী
৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৩:০০
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: ব্যাংকিং খাতের অনিয়ম দূর করতে প্রতিটি ব্যাংকে স্পেশাল অডিট করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি জানান, ‘ব্যাংকিং খাতের অনিয়ম বের করতে, প্রতিটি ব্যাংকে স্পেশাল অডিট করতে হবে। আমাদের জানতে হবে কেন ব্যাংকিং খাতে অনিয়ম হচ্ছে। এই অনিয়মের সঙ্গে কারা জড়িত তাদের বের করতে হবে। তবে, ব্যংকারদের ভয়ের কোনো কারণ নেই। প্রকৃত দোষীরাই শাস্তি পাবে।’
বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফার্মগেটের রূপালী ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসায়িক সম্মেলন ২০১৯ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে আ হ ম মোস্তফা কামাল এসব কথা বলেন। রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনজুর হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।
অর্থমন্ত্রী জানান, ব্যাংকিং খাতের অনিয়ম দূর করতে ৩ টি অডিট ফার্ম দিয়ে প্রতিটি ব্যাংকের কার্যক্রম অডিট করা হবে। তবে, এ নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই, অডিট করার উদ্দেশ্য হল আমাদের প্রকৃত সত্যটা জানতে হবে কেন ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ বাড়ছে।
আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশ ২০৪১ সালে বিশ্বের সেরা ২০টি অর্থনৈতিক দেশের কাতারে উন্নীত হবে। তখন আমরা জি-২০ দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হব এবং জি-২০ দেশের সম্মেলনে আমরা অংশগ্রহণ করতে পারব এবং এটা সম্ভব। তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের ৪১ তম সেরা অর্থনীতির দেশের তালিকায় রয়েছে। গত ১০ বছরে বাংলাদেশ ৫৮তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় ছিল সেখান থেকে ১৭ ধাপ এগিয়ে ৪১ তম ধাপে উন্নীত হয়েছে। তিনি বলেন ২০৪১ সাল আসতে এখনো ২১ বছর বাকি। এই ২১ বছরে বাংলাদেশে ২১তম ধাপ অতিক্রম করে ২০৪১ সালে বিশ্বের বৃহত্তম ২০ অর্থনৈতিক দেশে পরিণত হবে এবং এটা সম্ভব বলে আমি বিশ্বাস করি। এই অর্জনের মধ্য দিয়ে ২০৪১ সালে আমরা জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে পারব এটা হবে বাংলাদেশের জন্য অনেক গৌরবের বিষয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশ চীন ভারতের সমকক্ষ অর্থনীতির দেশ।
খেলাপি ঋণ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, খেলাপি ঋণ একটা ক্রাইম, আমাদের এই ক্রাইম বন্ধ করতে হবে। খেলাপি ঋণ বাড়ার প্রবণতা আমাদের থামাতে হবে, জাতিকে খেলাপি ঋণ থেকে মুক্ত করতে হবে। তিনি বলেন ব্যাংকের টাকা জনগণের টাকা, কৃষকের টাকা, জনগণের টাকা। এই টাকাকে খেলাপিতে পরিণত করা যাবে না।
অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশে সৎ ও অসৎ দুই ধরণের আছে। ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করে দেশের জন্য, তারা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে কলকারখানা করে, মাঝে মাঝে বিপদে পড়লে লোন ফেরত দিতে সমস্যা হয় এদেরকে আমরা বিশেষভাবে বিবেচনা করবো। অন্যদিকে, যারা অসৎ ব্যবসায়ী লোন নেয়, ফেরত না দেয়ার জন্য এমন ব্যবসায়ীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
সারাবাংলা/জিএস/জেএএম