উদ্বিগ্ন নাগরিকদের নিশ্চয়তা দিতে নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে মে
৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৪:০২
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের নাগরিকদের ব্রেক্সিট ইস্যুতে নিশ্চয়তা দিতে সেখানে দুই দিনের সফরে গেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে। রিপাবলিক অফ আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে কঠোর সীমান্ত ব্যবস্থার আশঙ্কা দূর করতে সেখানে বক্তব্য রেখেছেন তিনি। বলেছে, তিনি এমন একটি ব্রেক্সিট চুক্তি করতে অঙ্গীকারবদ্ধ যে চুক্তি অনুসারে, দুই দেশের মধ্যে কঠোর সীমান্ত ব্যবস্থা আরোপিত হবে না। খবর আল জাজিরার।
মঙ্গলবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের ব্যবসায়ী নেতাদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন মে। তিনি বলেন, ব্রেক্সিট নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সৃষ্ট জটিলতা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে এটা তার বিবেচনায় রয়েছে।
উল্লেখ্য, ৩০ তারিখের ভোটের পর কনজারভেটিভ এমপিরা টেরিজা মে প্রস্তাবিত চুক্তিতে ব্যাকস্টপ পরিকল্পনার বিকল্প খুঁজে চলেছেন। উল্লেখ্য, ব্যাকস্টপ পরিকল্পনা হচ্ছে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট ঘটলে দুই আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার সীমান্তে কঠোর ব্যবস্থাপনা এড়ানোর জন্য প্রস্তাবিত পরিকল্পনা।
মে বলেন, আমি জানি ব্যাকস্টপ পাল্টে পুনরায় ব্রেক্সিট চুক্তি করার ঘোষণা আয়ারল্যান্ড ও নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের জনগণের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। কেননা, ব্রেক্সিট চুক্তিতে যেটাই নির্ধারণ করা হোক না কেন, তার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে এই দুই অঞ্চলে।
দুই আয়ারল্যান্ডের মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘গুড ফ্রাইডে’ শান্তি চুক্তির নীতিমালা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, ব্রেক্সিটের পরও উভয় দেশের জনগণ বর্তমানের মতোই তাদের জীবন যাপন করতে পারবে।
তিনি বলেন, গ্রেট ব্রিটেন ও নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের মধ্যে কোন কাস্টমস সীমান্ত থাকবে না। মে জানান, তিনি যুক্তরাজ্য ও রিপাবলিক অফ আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করবেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডকে দেওয়া আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রেখে ব্রেক্সিট চুক্তি করার একটি উপায় খুঁজে বের করবো। যে চুক্তির প্রতি, সব সম্প্রদায়ের সমর্থন থাকবে ও পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য সমর্থন জানাবে।
উল্লেখ্য, গত মাসের ৩০ তারিখ ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এক ভোটের মাধ্যমে পার্লামেন্ট সদস্যরা মে‘কে তার প্রস্তাবিত চুক্তি থেকে ব্যাকস্টপ পরিকল্পনা বাদ দিয়ে নতুন করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ দিয়েছে। এর আগে ১৫ জানুয়ারি মে’র চুক্তিটি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বিপুল ভোটে প্রত্যাখ্যাত হয়।
তবে ইইউ জানিয়েছে, ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে নতুন কোন আলোচনায় বসবে না তারা। প্রয়োজনে ব্রেক্সিট কার্যকরের সময়সীমা পেছানোর বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। একইসঙ্গে বিচ্ছেদের পর দুই পক্ষের সম্পর্ক কেমন হবে সে বিষয়ে কিছু পরিবর্তন সম্ভব বলে ইঙ্গিত দিয়েছে তারা।
কিন্তু মে বলেছেন, তিনি ইইউ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করতে পারবেন। যদি এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন অগ্রগতির খবর পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট জিন-ক্লড জাংকারের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে তার।
উল্লেখ্য আগামী ২৯ মার্চ থেকে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া কার্যকর হবে।
সারাবাংলা/ আরএ