উপজেলা নির্বাচনে কোনো অনিয়মের সঙ্গে আপস নয়: সিইসি
৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৬:০৩
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অনিয়ম হলে প্রয়োজনে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হবে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা। তিনি বলেন, ‘কোনো অনিয়মের সঙ্গে আপস করা যাবে না।’ বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) আগারগাঁওস্থ ইটিআই ভবনে ৫ম উপজেলা নির্বাচন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘যদি কোনো রিটার্নিং অফিসার মনে করেন, তার সম্পূর্ণ উপজেলায় নির্বাচন করার পরিবেশ নেই। তবে সেটা বন্ধ করে দেওয়ার সুপারিশ করবেন। কমিশন সেটা বন্ধ করে দিতে পারবে। আমরা সে অবস্থানে থাকতে চাই। যদি কখনো কোনো জায়গায় কোনো প্রার্থীর, দলের বা কারও অতিরিক্ত নিষ্প্রয়োজনীয আইন ব্যত্যয়কারী কোনো ঘটনা সৃষ্টি হয় বা রিটার্নিং অফিসারের নিয়ন্ত্রণের বহির্ভূত হয়ে যাবে এমন কিছু হয়, তাহলে পুরো উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বন্ধ হবে। ’
ভোটারের পছন্দের প্রার্থী বিজয়ী হবে মন্তব্য করে সিইসি বলেন, ‘প্রার্থী কোন দলের, কোন ধর্মের, কোন বর্ণের, সেটা দেখার দায়িত্ব আমাদের নয়। অনেকে বলেন, প্রার্থী মেট্রিকের নিচে, তারা দেখতে ভালো না। এটা তো কোনো কথা না। ভোটার যাকে যোগ্য মনে করবেন, তিনিই হবেন তাদের নির্বাচিত প্রার্থী।’
আরও পড়ুন: কোনো প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করা যাবে না: মাহবুব তালুকদার
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ‘এজেন্টদের নিয়ে সব সময় আপনাদের বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। নির্বাচনে প্রার্থীরা যেন ভোটকেন্দ্রে এজেন্ট দেন, সে জন্য তাদের উৎসাহিত করবেন। এজেন্টরা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এজেন্ট থাকা ও যাওয়ার দায়িত্ব তো আপনারা নিতে পারেন না। সে প্রার্থীর বিষয়। প্রার্থীদের উৎসাহিত করবেন যেন তারা এজেন্ট দেয়। এজেন্টরা যেন সেখানে নিরাপদে নির্ভয়ে থাকতে পারে, এটা দেখবেন। ’
নির্বাচনে এজেন্টদের দায়িত্ব পালন সম্পর্কে সিইসি বলেন, ‘অনেকে বলেন, তাদের এজেন্টকে কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয়নি। আপনারা যদি না পাঠান, তাহলে কেন্দ্রে এজেন্ট কীভাবে যাবে? পোলিং এজেন্টদের বিষয়ে অভিযোগ আসে বেশি। যে তাদের কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয় না। অভিযোগগুলো অনেক ক্ষেত্রেই সঠিক না। কিন্তু আপনাদের নিশ্চয়তা দিতে হবে নির্ভয়ে যেন তারা কেন্দ্রে যেতে পারে।’
সিইসি আরও বলেন, ‘বলা হয়ে থাকে, ভোটারদের ভোট দিতে আসতে দেওয়া হয় না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিষয়টি ভালোভাবে বুঝিয়ে দেবেন। কোন কোন জায়গায় ভয়ভীতি দেখানো হয় বা হতে পারে, সেগুলোকে ভালোভাবে নজরদারিতে রাখতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের এসব জায়গায় বাড়তি সতর্কতায় থাকতে বলবেন। যেন ভোটাররা নির্ভয়ে, বিনা বাধায় ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। ’
নির্বাচনের আগে-পরে ও নির্বাচনের দিন যেন কোনো সহিংসতার ঘটনা না ঘটে, এ বিষয়ে খেয়াল রাখার নির্দেশনা দেন সিইসি।
সারাবাংলা/জিএস/এমএনএইচ